উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দল পাঠাতে চায় সৌদি আরব!
২০২২ এর শেষ দিকেও কেউ সৌদি আরবের ফুটবল নিয়ে খোঁজখবর রাখতেন না বলা চলে। দৃশ্যপট বদলে যায় ২০২৩ এর জানুয়ারিতে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে দলে নিয়ে তাক লাগিয়ে দেয় সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসের।
সিআর সেভেনের দেখানো পথে সৌদি আরবের লিগের বিভিন্ন দলে যোগ দিয়েছেন ইউরোপ কাঁপানো অনেক তারকাই। নেইমার, করিম বেনজেমা, সাদিও মানে, রবার্তো ফিরমিনো, রিয়াদ মাহরেজরা তো কদিন আগেও ইউরোপের সেরা তারকাদের মধ্যে ছিলেন।
কেমন হবে যদি রোনালদো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরেন আল-নাসেরের হয়ে, কিংবা নেইমারকে ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে দেখা যায় আল-হিলালের জার্সিতে?
শুধু খেলোয়াড় কিনেই ক্ষান্ত হয়নি সৌদি আরব, তাদের লক্ষ্য আরো অনেক ওপরে। উচ্চাভিলাষী স্বপ্নই দেখছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এবার আরো বড় পদক্ষেপ নিতে তৈরি তারা। ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দল পাঠাতে চায় সৌদই ফুটবল লিগ!
এই নতুন খবর দিয়েছে ইতালির সংবাদমাধ্যম কোরিয়েরে দেল্লো স্পোর্ত। সৌদি আরবের ফুটবলের নিয়ন্ত্রকরা একটি প্রস্তাব দিতে চান ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফাকে।
ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়নস লিগে সৌদি আরবের ক্লাব যেন অংশ নিতে পারে, সে জন্য উয়েফাকে প্রস্তাব দেবেন তারা। যদিও চ্যাম্পিয়নস লিগে ইউরোপের বাইরের কোনো ক্লাবের অংশ নেওয়ার নিয়ম নেই।
করিয়েরে দেল্লো স্পোর্ত জানিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই চ্যাম্পিয়নস লিগে সৌদি আরবের ক্লাবের অংশ নেওয়ার অনুমতি চাইবেন দেশটির ফুটবল কর্তারা। 'ওয়াইল্ড কার্ড'-এর মাধ্যমে এই টুর্নামেন্টে খেলা যায় কিনা সেরকম একটি উপায় বের করতে চান তারা। আর সেটি ২০২৪-২৫ মৌসুম থেকেই শুরু করতে চায় সৌদি আরব।
২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগ হবে নতুন ফরম্যাটে। এটিকে বলা হচ্ছে 'সুইস-সিস্টেম', যেখানে আগের মতো আর ৩২টি দল অংশ নেবে না, চারটি দল বাড়িয়ে ২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগ হবে ৩৬ দলের টুর্নামেন্ট।
লিগ পদ্ধতিতে আটটি করে ম্যাচ খেলবে প্রতিটি দল। শীর্ষ আট দল সরাসরি জায়গা করে নেবে শেষ ষোলোয়। ৯ম থেকে ২৪তম দলগুলোর মধ্যে দুই লেগের প্লে–অফ ম্যাচের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে শেষ ষোলোর অন্য দলগুলো।