ইশান-হার্দিকের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পেল ভারত
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/09/02/ind.jpg)
সাবধানী শুরুর পর বৃষ্টির হানা, বৃষ্টি থামার পর শাহিন শাহ আফ্রিদির তোপে দিকহারা ভারত। একটু পরই পাকিস্তানের আরেক পেসার হারিস রউফের দাপটে আরও কোণঠাসা ভারত। তখন অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ভারত। সেখান থেকে হাল ধরে দারুণ ইনিংস খেলা ইশান কিষান ও হার্দিক পান্ডিয়া বড় সংগ্রহের আশা জাগালেন। কিন্তু শেষভাগে আবারও ধস নামায় সেটা আর হলো না, এরপরও লড়াইয়ের পুঁজি পেল ভারত।
শনিবার এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাল্লেকেলেতে আগে ব্যাটিং করে ২৬৬ রান তুলেছে ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের তিন পেসার শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহর বোলিং তোপে পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করা হয়নি রোহিত শর্মার দলের। ইশান ও হার্দিকের দারুণ দুটি ইনিংসের পরও ৪৮.৫ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ভারত। ভারতের ইনিংসের পর আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে, মাঠ কভার দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত, সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার রোহিত ও শুভমান গিল। ৪.২ ওভারের পর শুরু হয় বৃষ্টি, ৪০ মিনিট পর আবার খেলা শুরু হয়। খেলা শুরুর পরই আফ্রিদির আঘাত। বৃষ্টির আগে ২ বল করা ওভারের শেষ বলে রোহিতের স্টাম্প উপড়ে নেন পাকিস্তানের পেস আক্রমণের এই সেরা অস্ত্র।
এক ওভার পর আবারও আফ্রিদির তোপ, এবার তার শিকার ভারতের ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা কোহলি। রোহিতের মতো কোহলিকেও বোল্ড করেন পাকিস্তানের বাঁহাতি এই পেসার। ২৭ রানে ২ উইকেট হারানো ভারতের চাপ আরও বাড়িয়ে দেন রউফ, দারুণ শুরু করা শ্রেয়াস আইয়ারকে সাজঘর দেখিয়ে দেন তিনি। উইকেটে ধুঁকতে থাকা শুভমানকে ১৫তম ওভারে ফিরিয়ে দেন রউফ।
৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত যখন দিশেহারা, তখন আলোক বর্তিকা হাতে দেখা দেন ইশান ও হার্দিক। চাপ সামলে উইকেটে মানিয়ে নেওয়া ভারতের এই দুই ব্যাটসম্যান গড়েন দারুণ এক জুটি। পঞ্চম উইকেটে ১৪১ রানে ১৩৮ রান যোগ করেন এ দুজন। মাঝে দুজনই পূর্ণ করেন হাফ সেঞ্চুরি। দলীয় সংগ্রহ ২০০ পেরিয়ে আউট হন ইশান। এর আগে ৮১ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮২ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর হার্দিক একাই দাপুটে ব্যাটিং করতে থাকেন। ৪৪তম ওভারে গিয়ে আফ্রিদির শিকারে পরিণত হন তিনি। ৯০ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৮৭ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর ভারত আর বেশি পথ এগোতে পারেনি। শেষ ৬.৫ (৪১ বল) ওভারে ২৭ রান তুলতেই বাকি ৪ উইকেট হারায় তারা। ১০ ওভারে ৩৫ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন আফ্রিদি। রউফ ও নাসিম পান ৩টি করে উইকেট।