সাকিব-মিরাজকে দশে দশ দিলেন হেরাথ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণ জয়ে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। এই জয়ের পথে বল হাতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের এই দুই স্পিনারের তোপে ৩৮ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় আফগানরা। এমন পারফরম্যান্সে দলের দুই সেরা স্পিনারকে দশে দশ দিলেন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ।
সাকিব ও মিরাজের স্পিন জাদুতে পথ ভুলে যাওয়া আফগানিস্তান ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রানেই অলআউট হয়ে যায়। আফগানদের প্রথম দুই উইকেট নেওয়া সাকিব ৮ ওভারে ৩০ রানে ৩টি উইকেট নেন। মিরাজের বিপক্ষে আরও ধুঁকতে হয় আফগানিস্তানকে। ৯ ওভারে ৩টি মেডেনসহ ২৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন পরে হাফ সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা মিরাজ।
ধর্মশালার উইকেটে সাধারণত পেসারদের জন্য সুবিধা থাকে, বাড়তি বাউন্স ও সুইং পান তারা। বাংলাদেশের পেসাররা সেই সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগাতে না পারলেও একেবারে খারাপ করেননি, তাসকিন, শরিফুল, মুস্তাফিজরা মিলে নেন ৪ উইকেট। তবে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন আপ গুঁড়িয়ে দেন সাকিব মিরাজই।
যে বিভাগ নিয়ে হেরাথের কাজ, সেই বিভাগের সাফল্য তিনি উৎফুল্ল হবেন; সেটাই স্বাভাবিক। লঙ্কান এই কোচ তাই উচ্ছ্বাস ভরা কণ্ঠে বললেন, 'সত্যি বলতে তারা ১০-এর মধ্যে ১০। কারণ, আমি আগেই বলেছি, তারা উইকেট বেশ ভালোভাবে বোঝে। তারপর তারা লাইন-লেন্থ মেনে দারুণ বোলিং করেছে। পাশাপাশি বেশ আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সেট আপ করেছে। আমি আসলে তাদের বোলিংয়ে শতভাগ খুশি।'
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ষষ্ঠ বোলারের অভাব ছিল। কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশে নাসুম কিংবা শেখ মেহেদি, অথবা বাড়তি কোনো পেসারকে দেখা যেতে পারে কিনা? হেরাথ বলেন, 'পুরোটাই কন্ডিশনের উপর নির্ভর করছে। যদি কোচ-নির্বাচক কিংবা অধিনায়ক মনে করে, তাহলে তারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা হয়তো ভিন্ন উইকেটে খেলব। আগে উইকেট দেখি, তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।