নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে সেমি-ফাইনালে এক পা দক্ষিণ আফ্রিকার
টানা চার ম্যাচ জয়ের পর এবার টানা তিন ম্যাচে হারল নিউজিল্যান্ড। আর এতে তাদের সেমি-ফাইনালে খেলার স্বপ্ন কিছুটা হলেও শঙ্কার মুখে পড়েছে। অপরদিকে কিউইদের উড়িয়ে সেমি-ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজেদের বাকি দুই ম্যাচ হারলেও সেমি-ফাইনালে খেলার সুযোগ থাকবে প্রোটিয়াদের।
পুনেতে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৩৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। যার ফলে কিউইরা ম্যাচ হেরেছে ১৯০ রানের বড় ব্যবধানে। জিততে হলে বিশ্বকাপে রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হতো কিউইদের।
নিউজিল্যান্ড ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেছেন গ্লেন ফিলিপস। ৩৩ রান করেছেন উইল ইয়ং। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩১ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন, ৪৬ রান দিয়ে চারটি উইকেট শিকার করেছেন কেশব মহারাজ।
এর আগে টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কিউই অধিনায়ক টম লাথাম। প্রোটিয়াদের আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানানো আর খাল কেটে কুমির আনা একই কথা, অন্তত এবারের বিশ্বকাপে কথাটি প্রযোজ্য। সব জেনেবুঝেও টসে জিতে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে পাঠান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম। আর তার ফায়দা নিয়ে কিউইদের কচুকাটা করেছেন কুইন্টন ডি কক- রাসি ভ্যান ডার ডুসেনরা।
এই দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে চার উইকেট হারিয়ে ৩৫৭ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ নিয়ে পরপর দুই ম্যাচে ৩৫০ এর বেশি রান বিলিয়েছেন কিউই বোলাররা।
এই ম্যাচেও সেঞ্চুরি করা ডি ককের এবারের বিশ্বকাপে এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি। সঙ্গে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে এক বিশ্বকাপে ৫০০ রান করার কীর্তি গড়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ডি ককের পাশাপাশি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ভ্যান ডুসেনও। চলতি বিশ্বকাপে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
ব্যাট করতে নেমে আগের ম্যাচগুলোর মতো উড়ন্ত সূচনা করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ফিরে যান ২৪ রান করে। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে প্রথমে কিছুটা দেখেশুনেই খেলেন ডি কক ও ডুসেন। তবে সেট হওয়ার পর পাখা মেলতে শুরু করেন দুজনে। চার-ছয়ের বন্যা বইয়ে দেন কিউই বোলারদের ওপর দিয়ে। এর মধ্যে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ১১৬ বলে ১০ চার ও তিন ছয়ে ১১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন ডি কক। দুজনের ঠিক ২০০ রানের জুটি ভাঙেন টিম সাউদি।
এরপর সেঞ্চুরি তুলে নেন ভ্যান ডুসেনও। আউট হওয়ার আগে ইনিংস সর্বোচ্চ ১৩৩ রান করেন তিনি। দুসেনের ১১৮ বলের ইনিংসে ছিলো নয়টি চার ও পাঁচটি ছয়ের মার। মাত্র ৩০ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন কিলার নামে পরিচিত ডেভিড মিলার। এই বাঁহাতি মেরেছেন দুটি চার ও চারটি ছয়।
নিউজিল্যান্ডের এমন মার খাওয়ার দিনে একমাত্র ট্রেন্ট বোল্টই পেরেছেন রানের লাগাম ধরতে। ১০ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। দুই উইকেট পেলেও ৭৭ রান খরচ করেছেন আরেক পেসার টিম সাউদি।