এ বছরই বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়তে চান পাপন
এতোদিন বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন নাজমুল হোসেন পাপন। আরেক দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এবার মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন তিনি। মন্ত্রী হলেও বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালনে আইনগত কোনো বাধা নেই। যদিও দীর্ঘমেয়াদে এক সঙ্গে দুটি দায়িত্ব পালন করে যেতে চান না তিনি। চলতি বছরই বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন পাপন।
এবারের মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন পাপন, এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই আলোচনায় চলে আসে বিসিবি সভাপতির পদের বিষয়টি। মন্ত্রী হওয়ার পর তিনি এই পদে থাকবেন কিনা, এ নিয়ে অনেক আলোচনা, জিজ্ঞাসা। বিষয়টি পাপন নিজেই অনেকটা পরিষ্কার করেছেন। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে বৃহস্পতিবার নিজের ভাবনার কথা জানান তিনি।
দীর্ঘদিন বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসা পাপন বলেছেন, 'প্রথম কথা হচ্ছে বিসিবির সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই, ছাড়ার। আগেও আমাদের অনেক মন্ত্রী ছিলেন যারা বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, বিদেশেও আছে। সেটা ইস্যু না। কথা হচ্ছে, আগে থেকেই ইচ্ছা ছিল এবারই আমার লাস্ট টার্ম। টার্মটা আবার সামনের বছর (শেষ হবে)। আমি চেষ্টা করব, এই বছরই টার্মটা শেষ করা যায় কিনা।'
আইসিসির নিয়ম-কানুনের কথাও মাথায় রাখছেন তিনি, 'আইসিসির আবার কিছু নিয়ম-কানুন আছে। ওদের বেশ কিছু কমিটিতে আছি, বিশেষ করে চেয়ারম্যানও আছি। ওরা আবার এটা বদল করে না। নতুন কেউ গেলেও আইসিসিতে তারা এটা দেয় না। শ্রীলঙ্কাতে দেখেছেন, ওখানে তারা অনুমতি দেয়নি। ওদের টার্মটা শেষ করতে হবে। আমার ধারণা… সামনের বছর তো এমনিই করতাম, চেষ্টা করব এ বছরের মধ্যে শেষ করা যায় কিনা।'
মন্ত্রিসভায় থেকে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করার নজির বাংলাদেশে আছে বেশ কয়েকটি। পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে বিসিবি সভাপতির পদ সামলান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সাবের হোসেন চৌধুরী একই সময়ে ছিলেন নৌ-পরিবহন উপমন্ত্রী।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন পাপন। এই পদে আগে প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী রাখা হলেও তাকে পূর্ণমন্ত্রী করা হয়েছে। ভিন্ন চ্যালেঞ্জে নিজের সেরাটা দিতে চান তিনি, 'আমি সব সময় প্রাইভেট সেক্টরে ছিলাম। এটা পুরোপুরি ভিন্ন। পাবলিক সেক্টরে আমার ইন্টারঅ্যাকশন একদম মিনিমাম। সে জন্য দায়িত্বটা আগে বুঝতে হবে। কাজটা কী, কাজটা বোঝার চেষ্টা করব প্রথমে। কোনো বিষয় নিয়ে বিস্তারিত হোমওয়ার্ক ছাড়া এখনই মন্তব্য করাটা কঠিন। তবে চেষ্টা করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন একটা দায়িত্ব দিয়েছেন, টেষ্টা করব সেরাটা দিতে।'