‘না খেললে ভালো হয়’- বিপিএল খেলা নিয়ে বলছেন মাশরাফি
পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে হাঁটুর ইনজুরিতে ভুগেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। দুই পায়ে সাতটি অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে অভিজ্ঞ এই পেসারকে। এখনও হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন বাংলাদেশের ওয়ানডের সফলতম অধিনায়ক। এরপরও অবশ্য সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক হিসেবে বিপিএল খেলছেন মাশরাফি। যদিও পুরো রান আপে বোলিং করতে পারছেন না, পুরোটা সময় ফিল্ডিংও করা হচ্ছে না তার।
টুর্নামেন্টে আদর্শ অবস্থায় খেলাটা ঠিক হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন রাজনীতি ও খেলা একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া মাশরাফি। হার দিয়ে বিপিএল শুরু করা বর্তমান রানার্সআপরা আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও হেরে গেছে। এই ম্যাচের পর দলের বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি নিজের খেলার কারণ নিয়ে কথা বলেন মাশরাফি। যদিও কারণ ব্যাখ্যা করেননি। সাবেক এই অধিনায়ক জানিয়েছেন, অনেক সময় সবকিছু ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয় না।
আট মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে নামা মাশরাফি প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে সামান্য রান আপে হেঁটে হেঁটে বোলিং করেন। ২.৩ ওভারে ২৫ রান খরচায় নেন একটি উইকেট। ওই ম্যাচে ব্যাটিং করার দরকার হয়নি তার। আজ রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে তিন নম্বরে ব্যাটিং করা মাশরাফি ৭ বলে একটি চারে ৬ রান করে রান আউট হন, পরে বোলিং করেননি। সেই অর্থে দলের জন্য অবদান রাখা হচ্ছে না মাশরাফির।
এ কারণেই তার মনে হচ্ছে আদর্শ অবস্থায় তিনি না খেললেই বরং দলের জন্য ভালো হয়। চোট নিয়েও খেলছেন, প্যাশন বা ভালোবাসা ছাড়া এভাবে খেলা নিশ্চয়ই সম্ভব নয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফি বলেন, 'না, সেটা অবশ্যই। তবে সত্যি বলতে, আদর্শ পরিস্থিতিতে… না হলে (না খেললে) ভালো হয়। তবে সবকিছু বা অনেক কিছু ব্যাখ্যা করা যায় না (প্রকাশ্যে)। আইডিয়ালি হয়তোবা আরেকটু… এমনিতে আমার সবকিছু ঠিক আছে, শুধু হাঁটুর সমস্যাটা হচ্ছে, যেট খুব ছোট, কিন্তু ভোগাচ্ছে।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক, জাতীয় দলে মাশরাফির এক সময়ের সতীর্থ মোহাম্মদ আশরাফুল টি-স্পোর্টসে আলোচনার ফাঁকে বলেন, মাশরাফির খেলার ইচ্ছা না থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের অনুরোধের কারণে তাকে খেলতে হচ্ছে। এতে সিলেটের একাদশে সুযোগ হারাচ্ছেন পেসার রেজাউর রহমান রাজা। এ ছাড়া মাশরাফি যে ঠিকভাবে বোলিং করতে পারছেন না, সেটাও উল্লেখ করেন আশরাফুল।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে মাশরাফি বলেন, 'এটা তো বললাম, সব জিনিস সব সময় ব্যাখ্যা করা যায় না। অবশ্যই আমি যেটা মনে করেছি যে, আদর্শ সময় না (খেলার জন্য। আর কে খেললে কে ভালো হতো, সেটা পরের বিষয়, সেটা দলের বিষয়। দেখা গেল, ওকে না খেলিয়ে আরেকজনকে খেলাতে পারতো। সেটা ভিন্ন জিনিস। কে খেললে কী ভালো হতো, ওটা তো দল কারও সাথে আলোচনায় বসবে না বা করবে না। তবে যেটা আপনি বলছেন, আইডিয়াল সিচুয়েশনে অবশ্যই ওটাই হওয়া উচিত।'