বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের রান পাহাড়
টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত যা ভেবে নিয়েছিলেন নাজমুল হাসান শান্ত, সেটি তো কাজ করেইনি, উল্টো রান পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে বাংলাদেশ। সিলেটে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে ২০ ওভার খেলে শ্রীলঙ্কা তুলেছে ২০৬ রান। মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখাতে পেরেছেন বাংলাদেশের বোলাররা।
শরিফুলের করা ইনিংসের প্রথম বলেই চার মেরে ঠিক পরের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আভিষ্কা ফার্নান্দো। তখন মনে হচ্ছিল, টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তটা কাজে লাগতে যাচ্ছে। কিন্তু এরপরের গল্পটা শুধুই লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের। কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিকরামা ও অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা ব্যাট হাতে যে ঝড় তুললেন, সেটি অসহায়ের মতো চেয়ে দেখলেন শরিফুল-মুস্তাফিজ-তাসকিনরা।
তিন পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। উইকেটে কিছুটা সবুজের আস্তরণ থাকাতেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। শরিফুল প্রথম ওভারেই ব্রেকথ্রু এনে দিয়ে সিদ্ধান্তের প্রতি ন্যায়বিচারও করলেন যেন কিছুটা। এরপর কামিন্দু ও কুশল- দুই মেন্ডিস মিলে ৩৩ রানের জুটিতে প্রাথমিক ধাক্কা সামলালেন। কামিন্দু বেশিক্ষণ না চালিয়ে যেতে পারলেও কুশল চালিয়েছেন ঠিকই। একপ্রান্তে ধীরে সুস্থে এগিয়েছেন সামারাবিকরামা।
দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেছেন ৯৬ রান। মাত্র ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করা কুশল মেন্ডিস আউট হন ৩৬ বলে ছয় চার ও তিন ছয়ে ৫৯ রান করে। এরপর হাত খুলেন সামারাবিকরামাও। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে আট চার ও এক ছয়ে ৬১ রান নিয়ে। শ্রীলঙ্কার রান ২০০ পার হওয়ার পেছনে মেন্ডিস ও সামারাবিকরামার চেয়েও বড় অবদান বলা চলে চারিথ আসালাঙ্কার। অধিনায়কের মতোই এক ইনিংস খেলেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
মাত্র ২১ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান অধিপতি। কোনো চার মারেননি তিনি, তবে হাঁকিয়েছেন ছয়টি বড় ছয়। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল, তাসকিন ও রিশাদ। তিন পেসারদের মধ্যে শরিফুল দিয়েছেন ৪৭ রান, তাসকিন দিয়েছেন ৪০ রান ও মুস্তাফিজ দিয়েছেন ৪২ রান।