নারী ক্রিকেট দলের কিট স্পন্সর কোকা-কোলা
মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে শুরুতেই স্মৃতির পাল্টা ওল্টালেন হাবিবুল বাশার সুমন। সাবেক এই অধিনায়ক মনে করলেন টেস্টে পথচলা শুরুর সময়টার কথা, যখন বাংলাদেশের জার্সিতে লেখা ছিল কোকাকোলা। উইমেন্স উইংয়ের প্রধানের দায়িত্ব পাওয়া বাশার যেন কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক এই কোম্পানিটিকে তাদের ভুলে যাওয়া দিনের কথা মনে করিয়ে দিতে চাইলেন। দীর্ঘ সময় ক্রিকেটকে পৃষ্ঠপোষকতা করেনি কোকো-কোলা বাংলাদেশ, অবশেষে তারা যুক্ত হয়েছে দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে।
সাড়ে তিন বছরের জন্য জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের কিট স্পন্সর হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৮ মার্চ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া এই ঘোষণা নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির কাছে নতুন, যা নিয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত। হওয়ারই কথা, প্রথমবারের মতো নিজেদের জন্য কিট স্পন্সর পেয়েছেন তারা। আগে পুরুষ ও নারী মিলিয়ে স্পন্সর ব্যবস্থা করতো বিসিবি। এবার কোকো-কোলা কেবলই নারী দলের কিট স্পন্সর, চুক্তির মেয়াদ ১ মার্চ ২০২৪ থেকে ৩১ জুলাই ২০২৭ সাল পর্যন্ত।
নিজেদের জন্য এমন আয়োজন দেখে ভালো লাগার কথা জানালেন নিগার। বাংলাদেশ অধিনায়ক ধন্যবাদ দিলেন কোকা-কোলার উদ্যোগকেও, 'আমার জানামতে এই প্রথমবার আলাদাভাবে একটি কোম্পানি আমাদের (কিট) স্পন্সর করছে। এটা কোকা-কোলার পক্ষ থেকে দারুণ একটি উদ্যোগ। এ জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ। তাদের মাধ্যমে আরও অনেকে এগিয়ে আসার জন্য অনুপ্রাণিত হবে। আমাদের স্পন্সর হওয়ার জন্য অবশ্যই কোকা-কোলাকে ধন্যবাদ, কিট দিয়ে শুরু হয়েছে, আশা করি সামনে আরও অনেক কিছু হবে।'
বিসিবির সঙ্গে কোকা-কোলার চুক্তি অবশ্য আরও বিস্তৃত। নারী দলের কিট স্পন্সর হওয়ার পাশাপাশি বয়সভিত্তিকসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তারা। ১ মার্চ ২০২৪ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত, ২ বছরের জন্য পুরুষ, নারী এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলসহ সব ফরম্যাট ও ক্যাটাগরিতে অফিশিয়াল বেভারেজ পার্টনারও হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সব খেলা ও অনুষ্ঠান চলাকালীন খেলোয়াড়, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ভক্তদের রিফ্রেশমেন্ট সহায়তা দেবে কোকা-কোলা।
বিসিবির সরবরাহ করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'কোকা-কোলা বাংলাদেশকে আমাদের কিট স্পন্সর এবং অফিশিয়াল বেভারেজ পার্টনার হিসেবে গেয়ে আমরা গর্বিত। নারী ক্রিকেটকে উন্নত করা এবং প্রতিভার লালন করাই আমাদের লক্ষ্য। এই পার্টনারশিপ সেই লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।'