ক্লাসেন বীরত্বের পরও কলকাতার কাছে হায়দরাবাদের হার
বিফলেই গেল হেনরিখ ক্লাসেনের প্রচেষ্টা, অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারলেন না এই দক্ষিণ আফ্রিকান। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে চার রানে হেরেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
একটা সময় মনে হচ্ছিল, কলকাতা বেশ সহজেই ম্যাচ জিততে যাচ্ছে। সেখান থেকে হায়দরাবাদকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে আসেন ক্লাসেন। এই দক্ষিণ আফ্রিকানের দুর্দান্ত এক ইনিংসের কল্যাণে খুব কাছে এসেও পারেনি হায়দরাবাদ। অসাধারণ এক ম্যাচের স্বাক্ষী হয়েছেন ইডেন গার্ডেন্সের দর্শকরা।
কলকাতার দেওয়া ২০৯ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদের শুরুটাও দারুণ ছিল। দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও অভিষেক শর্মা ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাঁচ ওভারেই ৬০ রান তুলে ফেলেন। আগারওয়াল ২১ বলে ৩২ ও শর্মা ১৯ বলে ৩২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে এরপর আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানের চাকা চেপে ধরেন কলকাতার বোলাররা। একটা সময় হায়দরাবাদের দরকার ছিল ছয় ওভারে ৯৪ রান।
সেখান থেকে শুরু হয় ক্লাসেন ঝড়। একের পর এক ছয় হাঁকিয়ে হায়দ্রাবাদকে অবিশ্বাস্য এক জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গ পেয়েছেন শাহবাজেরও। ১৯তম ওভারে স্টার্কের ছয় বল থেকে ২৬ রান তোলেন দুজন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৩ রান। হার্শিত রানার করা প্রথম বলেই ছয় মারেন ক্লাসেন। তখন ম্যাচ হেলে পড়ে হায়দরাবাদের দিকে।
কিন্তু নিজের মনোবল ধরে রেখে দারুণ বোলিং করেন হার্শিত। তার স্লোয়ার বলে পরাস্ত হয়ে উইকেট দেন শাহবাজ ও ক্লাসেন। শেষ বলে পাঁচ রান প্রয়োজন থাকলেও অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ব্যাটে বলই ছোঁয়াতে পারেননি। বৃথাই যায় ক্লাসেনের ২৯ বলে আট ছক্কায় করা ৬৩ রানের ইনিংস।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করে কলকাতা বড় সংগ্রহ গড়ে মূলত দুজনের কল্যাণে। ইনিংসের শুরুতে ফিলিপ সল্ট ৪০ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে করেন ৫৪ রান। আর শেষের দিকে নিজের ভয়ঙ্কর রূপ দেখান আন্দ্রে রাসেল। এই ক্যারিবিয়ানের ২৫ বলে তিন চার ও সাত ছয়ে ৬৪ রানের ইনিংসই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে।