ফাইনালে কোহলির ব্যাটে হাসি, ভারতের রেকর্ড পুঁজি
দাপুটে শুরুর পর হঠাৎ-ই ছন্দপতন। অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিরে গেলেন রোহিত শর্মা, ঋষভ পন্ত ও সূর্যকুমার যাদব। চাপে পড়ে যাওয়া দলকে পথ দেখালেন অবশেষে রানে ফেরা বিরাট কোহলি ও অক্ষর প্যাটেল, চতুর্থ উইকেটে এ দুজন গড়লেন কার্যকর এক জুটি। অক্ষর ফিরলেও কিং কোহলি থেকে গেলেন, তার সঙ্গে যোগ দিলেন শিমব দুবে। এই দুজন চেষ্টা করলেন প্রায় শেষ পর্যন্ত, তাতে লড়াকু পুঁজি পেল ভারত।
শনিবার বার্বাডোজের কেনিংসটন ওভালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ১৭৬ রান তুলেছে ভারত। যা আসরটির ইতিহাসে ফাইনালের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আগের সর্বোচ্চ অস্ট্রেলিয়ার, ২০২১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ১৭৩ করে তারা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন আসরজুড়ে রানখরায় থাকা বিরাট কোহলি। ডানহাতি এই ওপেনার ৫৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৬ রানের মহাকার্যকর ইনিংস খেলেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটা তার ১৫তম হাফ সেঞ্চুরি, যা আসরটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। রানে ফেরার এই ইনিংস দিয়ে সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের এই বিশ্ব আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও হয়ে গেছেন কোহলি। ৩৫ ম্যাচে ৩৩ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৫৮.৭২ গড়ে ১ হাজার ২৯২ রান করেছেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। ৪৪ ইনিংসে ৩৪.৮৫ গড়ে ১ হাজার ২২০ রান নিয়ে রোহিত দুই নম্বরে।
অল্প রানের ব্যবধানেই ৩ উইকেট হারানো ভারতকে ঠিক পথে ফেরানোর আসল কাজটি অবশ্য অক্ষর করেছেন। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার উইকেটে গিয়েই নিজেকে মানিয়ে নেন। চাপ কাটিয়ে ৩১ বলে একটি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৭ রানের কার্যকর এক ইনিংস খেলেন তিনি। আউট হওয়ার আগে কোহলির সঙ্গে ৫৪ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন তিনি।
অক্ষরের বিদায়ের পর দুবের সঙ্গে আরেকটি জুটি গড়েন ফাইনালে দলের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেওয়া কোহলি। আউট হওয়ার আগে দুবের সঙ্গে ৩৩ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। যেখানে তার অবদানই বেশি, ২০ বলে করেন ৩৩ রান, দুবের অবদান ১৩ বলে ২২। কোহলি ফেরার পর দুবে বেশি রান তুলতে পারেননি। ১৬ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ২৭ রান করেন তিনি।
আজ রোহিত পারেননি, ৫ বলে ৯ রান করেন ভারত অধিনায়ক। পন্ত রানের খাতা খুলতে পারেননি। ৩ রান করেই থামেন সূর্যকুমার। হার্কি পান্ডিয়া ২ বলে ৫ ও রবীন্দ্র জাদেজা ২ রান করেন। ভারতকে শুরুতেই চাপে ফেলা দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ ৩ ওভারে ২৩ রানে ২ উইকেট নেন। ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় আনরিখ নরকিয়ার শিকারও ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান মার্কো ইয়ানসেন ও কাগিসো রাবাদা।