সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসির খোরাক রোনালদোর কান্না
ফুটবল মাঠে খেলোয়াড়দের কাঁদার দৃশ্য খুব সাধারণ ঘটনা। বড় বড় খেলোয়াড়রাও এর ব্যতিক্রম নন। জয় কিংবা হার, দুই ক্ষেত্রেই এই কান্নার দৃশ্য দেখা যায়। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসি, প্রজন্মের সেরা দুই ফুটবলারকেও কাঁদতে হয়েছে হারের যন্ত্রণায়। তবে সেগুলো সব ম্যাচ শেষে।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে মনে করা হয়ে থাকে দৃঢ় মানসিকতার মূর্ত প্রতীক হিসেবে। ২০২২ সালে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে হারের পর টানেলে রোনালদোর কান্না মন ছুঁয়েছিল সবার। কিন্তু ইউরোর শেষ ষোলোয় পেনাল্টি মিস করে ম্যাচ চলাকালীন সময়েই সিআর সেভেনের কান্না হয়েছে উলটো হাসির খোরাক।
ম্যাচের ঘড়ির কাটায় তখন ১০৪ মিনিট। রোনালদো গোল করলেই পর্তুগালের জয় নিশ্চিতই বলা চলে। সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ইয়ান ওবলাক, যার বিরুদ্ধে ক্যারিয়ারে আট গোল ও দুটো হ্যাটট্রিক আছে সিআর সেভেনের।
কিন্তু এবার ওবলাক জিতে গেলেন, ঠিক জায়গায় ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দিলেন রোনালদোর শট। আর মিস করে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পর্তুগিজ মহাতারকা। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে এমন দৃশ্য এর আগে কখনও দেখা গেছে কিনা সেটি একটি গবেষণার বিষয় বটে।
পরে অবশ্য টাইব্রেকারে গোলকিপার দিয়োগো কস্তার বীরত্বে স্লোভেনিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পর্তুগাল। টাইব্রেকারে গোল পাওয়া রোনালদোকে এরপর পড়তে হয়েছে আরেক বিড়ম্বনায়। তার কান্না যে হাসির খোরাক হয়েছে বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য।
এক্সে রোনালদোর কান্না নিয়ে একজন লিখেছেন, 'আমি দুঃখিত। কিন্তু ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কান্নার চেয়ে মজার আর কিছু হতে পারে না।' জশ বয়েজ নামের এক ফুটবলপ্রেমী পোস্ট করেছেন, 'রোনালদো কাঁদছেন। কারণ, রোনালদো বুঝে ফেলেছেন যে তিনি শেষ হয়ে গেছেন।'
রোনালদোর পেনাল্টি মিস করা নিয়েও আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একজন লিখেছেন, 'এবং তিনি পেনাল্টি মিস করেছেন। বিদায়ের সময় এসে গেছে, রোনালদো।' পেনাল্টি মিস নিয়ে আরেকজন একটি জিআইএফ পোস্ট করে লিখেছেন, 'রোনালদো পেনাল্টি মিস করেছেন।'
আরেক ভক্ত আবার রোনালদোর কান্নার সমালোচনা করে লিখেছেন, 'ম্যাচ চলাকালে এভাবে কান্না করতে পারেন না আপনি।' অন্য একজন আবার রোনালদোর প্রতি সহমর্মিতা দেখালেন, 'আমি আপনাদের এমন কিছু বলছি, যেটা মজার নয়। এই মুহূর্তে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে বাচ্চা মেয়ের মতো কাঁদছেন।'