অস্ট্রিয়াকে বিদায় করে ১৬ বছর পর ইউরোর শেষ আটে তুরস্ক
১৬ বছরপর ইউরোর শেষ আটে উঠল তুরস্ক। টুর্নামেন্টের অন্যতম চমক অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ দল হিসেবে তুরস্ক নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে তুর্কিরা।
অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে তুরস্কের জয়ের নায়ক তাদের ডিফেন্ডার মেরিহ ডেমিরেল। মূল কাজ গোল রক্ষায় দলকে সহায়তা করা হলেও এদিন গোল করে নায়ক বনে গেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সাবেক এই সতীর্থ। তুরস্কের দুটি গোলই এসেছে সেট পিস থেকে দেমিরেলের কল্যাণে। যার মধ্যে প্রথমটি আবার ইউরোর নকআউট পর্বের ইতিহাসে দ্রুততম।
ইউরোর শেষ ষোলো পর্বের শেষ ম্যাচে আজ কাগজে–কলমে অস্ট্রিয়াই ছিল এগিয়ে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তুরস্কের চেয়ে ১৭ ধাপ এগিয়ে তারা। গত মার্চে দুই দলের সর্বশেষ দেখায় তুরস্ককে ৬–১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল অস্ট্রিয়া। নিষেধাজ্ঞার কারণে নিয়মিত অধিনায়ক হাকান চালহানোয়লুর অনুপস্থিতি তুরস্কের শক্তি আরও কমিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে পাশার দান উলটে দিয়েছেন ডেমিরেল।
ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৫৭ সেকেন্ড। কর্নার থেকে আর্দা গুলারের নেওয়া শট বক্সের ভেতর জটলার মধ্যে পড়লে তা বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন অস্ট্রিয়ার গোলকিপার প্যাট্রিক পেনৎস ও অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ক্রিস্টফ বামগার্টনার। পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা ডেমিরেল উঁচু করে নেওয়া শটে অস্ট্রিয়ার জাল কাঁপান।
ইউরোর নকআউট পর্বের ইতিহাসে এটিই এখন দ্রুততম গোল, সব মিলিয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম। মাত্র ২৩ সেকেন্ডে গোল করে এবারের আসরেই দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়েছিলেন আলবেনিয়ার নেদিম বাইরামি। আর নকআউট পর্বে আগের দ্রুততম গোলের রেকর্ড ছিল পোল্যান্ড অধিনায়ক রবার্ট লেভানডোভস্কির।
এরপর গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে অস্ট্রিয়া। কিন্তু তুরস্কের দারুণ রক্ষণে অস্ট্রিয়ার আক্রমণগুলো আটকে গেছে।বিরতির ৫৯ মিনিটে আবারও গুলারের নেওয়া কর্নার থেকে জোরালো হেডে ব্যবধান ২–০ করেন এই ডেমিরেল। ৬৬ মিনিটে বদলি নামা মাইকেল গ্রেগরিটশের গোলে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় অস্ট্রিয়া।
একদম ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে, যোগ করার সময়ের চতুর্থ মিনিটে মোক্ষম সুযোগ পেয়েও যায় তারা। গোলমুখের কাছাকাছি দূরত্ব থেকে দারুণ এক হেড করেছিলেন বামগার্টনার। তুর্কি গোলকিপার মের্ত গুনোক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক সেইভে দলকে রক্ষা করেন। এরপরেই রেফারি শেষ বাঁশি বাজালে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার আনন্দে ভাসে তুরস্ক। বিদায়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রিয়া।