আর্জেন্টিনা-মরক্কো ম্যাচ মাশ্চেরানোর দেখা সবচেয়ে বড় সার্কাস
আর্জেন্টিনা-মরক্কোর মধ্যকার অলিম্পিক ফুটবল ম্যাচটিকে নাটকীয় থেকেও বেশি কিছু বলা যেতেই পারে। যেমন আর্জেন্টিনা কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানোর কাছে এটি সার্কাসের চেয়ে কম কিছু নয়। জীবনে কোনোদিন এমন কিছু দেখেননি বলেও জানিয়েছেন সাবেক এই আর্জেন্টাইন ফুটবলার।
অলিম্পিক আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু না হলেও ফুটবলের পর্ব শুরু হয়ে গেছে। আর সেখানেই আর্জেন্টিনা-মরক্কো ম্যাচে ঘটেছে নাটকীয় সব ঘটনা। শেষ পর্যন্ত আলবিসেলেস্তেদের হারিয়ে অনেকটা চমকই দেখিয়েছে মরক্কো।
ঘটনাবহুল এই ম্যাচের শেষাংশ ছিল সবচেয়ে বেশি অবিশ্বাস্য। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে যোগ করা হয় ১৫ মিনিট! তখন আর্জেন্টিনা পিছিয়ে ছিল ২-১ গোলের ব্যবধানে। যোগ করা সময়ের ১৫ মিনিট শেষ হওয়ার পরও খেলা চালিয়ে যান রেফারি।
১৬তম মিনিটে গোল করে সমতা ফেরায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু সেটিতে ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠে নেমে পড়েন মরক্কান সমর্থকরা। তাদেরকে সরিয়ে নিতে প্রায় দুই ঘন্টা সময় লাগে। এরপর দুই দলের খেলোয়াড়রা জানতে পারেন, ম্যাচের তখনও ৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ড বাকি! অর্থাৎ, ম্যাচ শেষ হয়নি, বরং কিছু সময়ের জন্য পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
এরপর বাকি ছিল নাটকীয়তার আরেক প্রস্থ। খেলোয়াড়রা মাঠে ফেরার পর ভিএআর চেকে অফসাইডের কারণে বাতিল হয় আর্জেন্টিনার। এরপর খেলা বাকি সময়ে আর গোল করতে পারেনি আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচ জিতে নেয় মরক্কো।
এই পুরো ঘটনাপ্রবাহকে আর্জেন্টিনা কোচ মাশ্চেরানো ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, 'মরক্কো অধিনায়ক খেলতে চায়নি। আমরাও চাইনি আর দর্শকেরাও আমাদের তাক করে অনেক কিছু ছুঁড়ে মেরেছে। আমার জীবনে দেখা এটাই সবচেয়ে বড় সার্কাস। জানি না একটি খেলার মুহূর্ত রিভিউ করতে তারা কেন ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় নিল।'
প্রায় দুই ঘণ্টা বিরতির পর খেলা পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে মাশ্চেরানোর বক্তব্য, 'মেদিনার গোল যদি অফসাইড হয়, তবে ম্যাচটি সেভাবেই চালিয়ে যাওয়া যেত। আমার মনে হয় না দেড় ঘণ্টা বিরতি নিয়ে ম্যাচটি আবারও তিন মিনিটের জন্য খেলার প্রয়োজন ছিল।'
আর্জেন্টিনার হয়ে ২০০৪ ও ২০০৮ অলিম্পিক ফুটবলে সোনাজয়ী সাবেক মিডফিল্ডার আয়োজকদের ধুঁয়ে দিয়ে আরও বলেছেন, 'এমন ঘটনা পাড়ার টুর্নামেন্টেও ঘটে না। এটা লজ্জার। অলিম্পিকের চেতনার বাইরে এই সংস্থাকে মানসম্মত হতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই মুহূর্তে তারা সেটি হতে পারেনি।'