মেসির হ্যাটট্রিকে বলিভিয়াকে পুরনো হিসাব বুঝিয়ে আর্জেন্টিনার গোল উৎসব
২০০৯ সাল, বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বলিভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচ। লিওনেল মেসি তখন ২২ বছরের টগবগে যুবক, ততোদিনে আর্জেন্টিনা দলের প্রাণ ভোমরাও হয়ে উঠেছেন তিনি। কিন্তু সেই ম্যাচে দলকে জেতাতে পারেননি, উল্টো হারতে হয় ৬-১ গোলের বড় হারে। যা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় হার।
১৫ বছর পর একই মঞ্চে প্রতিপক্ষ বলিভিয়া, এই ম্যাচেও আর্জেন্টিনার একাদশে মেসি। এবার অধিনায়ক হিসেবে, যদিও এবার তিনি ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় দাঁড়িয়ে থাকা ৩৭ বছর বয়সী একজন। কিন্তু নামটা যখন মেসি, তখন তার জন্য কোনো কিছুই হয়তো বাধা নয়। যুবক বয়সে যা পারেননি, এই ম্যাচে সেটা করে দেখালেন রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী আর্জেন্টাইন এই ফুটবল জাদুকর।
লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে বুয়েন্স এইরেসে বলিভিয়ার জালে গোল উৎসব করেছে আর্জেন্টিনা। দ্যুতি ছড়িয়ে যেখানে নায়ক মেসি। নিজে করেছেন হ্যাটট্রিক, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন দুটি গোল। তার এমন ঝলমলে পারফরম্যান্সে বলিভিয়াকে ৬-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। যা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তাদের সবচেয়ে বড় জয়।
আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এটা মেসির দশম হ্যাটট্রিক, দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর রেকর্ডে ভাগ বসালেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে দুজনই এখন সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের মালিক। ৩ গোলে মেসির আন্তর্জাতিক গোল হলো ১১২টি, যা ফুটবল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ১৩৩ গোল নিয়ে সবার উপরে রোনালদো।
দারুণ ছন্দে থাকা আর্জেন্টিনা হঠাৎ-ই দিক হারিয়ে বসেছিল। কলম্বিয়ার মাঠে হেরে যাওয়া আলবিসেলেস্তারা পরের ম্যাচে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ড্র করে। জয়ে ফিরতে বলিভিয়ার বিপক্ষে শক্তিশালী দল গড়ে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সেই পরিকল্পনায় ভালোভাবেই সফল তারা। ১০ ম্যাচে ৭ জয় ও এক ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আর্জেন্টিনা।
বলিভিয়ার বিপক্ষে লাউতারো মার্তিনেসের কাছ থেকে বল পেয়ে ১৯তম মিনিটে জালের ঠিকানা করে নেন মেসি। ৪৩তম মিনিটে মেসির বলের যোগান থেকে লাউতারো ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে মেসির অ্যাসিস্ট থেকে গোল আদায় করে নেন হুলিয়ান আলভারেজ। ৬৯তম মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করে বদলি হিসেবে নামা থিয়াগো আলমাদা। ৮৪ ও ৮৬ তম মিনিটে গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মেসি।