নিউজিল্যান্ডে কোয়ারেন্টিনে বাংলাদেশ, সুজন বলছেন, ‘কঠিন সময়’
ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষের সিরিজের পর বিশ্রামের সুযোগ মেলেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্রিকেট দলের। যেদিন টেস্ট সিরিজ শেষ হয়, সেদিন রাতেই নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেয় বাংলাদেশ। লম্বা যাত্রা শেষে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছে করোনা পরীক্ষার পর কোয়ারেন্টিন শুরু হয়। পাকিস্তান সিরিজের পরপরই সফরে গিয়ে এভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকাটা কঠিন বলে মনে করছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকা জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালকের মতে, এটা কঠিন সময়। দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে যাওয়া সুজন এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, আরও কয়েকটা দিন এভাবে কষ্ট করতে হবে দলের সবাইকে।
বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় সুজন বলেন, 'আজ আমাদের কোয়ারেন্টিনের প্রথম দিন। সকালে ঘুম থেকে ওঠে নাস্তা করার পর দুজন নার্স এসেছিলেন, আমাদের জ্বর মাপার জন্য। বাকি সব খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য। এখানে পৌঁছানোর পর সবাই যার যার রুমে যাই। এখনও কারও সাথে কারও দেখা হয়নি, ভিডিও কল ছাড়া।'
সময়টাকে কঠিন মনে হচ্ছে সুজনের কাছে। তার ভাষায়, 'কঠিন সময়, পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলে আসার পর পরই ছেলেরা কোয়ারেন্টিনে, কঠিন সময় যাচ্ছে। আরও দুই-তিন দিন কষ্ট করতে হবে, তারপর আমরা গ্রুপ হিসেবে অনুশীলন করতে পারব, জিম করতে পারব। তারপর আস্তে আস্তে অনুশীলন শুরু করতে পারব।'
করোনাকালে কোয়ারেন্টিনে ঘরবন্দি সময় কাটানো নতুন কিছু নয় ক্রিকেটারদের জন্য। গত বছর থেকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকেই সিরিজ খেলতে হচ্ছে। সুজনের আশা কয়েক দিনের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যাবে। তিনি বলেন, 'আমি আশা করি, কয়েক দিনের মধ্যে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। এ ছাড়া আমরা সবাই ভালো আছি, সুস্থ আছি; দোয়া করবেন।'
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি ম্যাচ খেলতে নিউজিল্যান্ডে গেছে বাংলাদেশ। মাউন্ট মঙ্গানুইতে আগামী ১ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। ক্রাইস্টচার্চে ৯ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতার কারণে বাংলাদেশকে আগেই যেতে হয়েছে। তিন দিনের আইসোলেশনসহ সাত দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে অনুশীলনের সুযোগ পাবে মুমিনুল হকের দল। এই সময়ের মধ্যে তিনটি করোনা পরীক্ষা করা হবে তাদের।