জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের পদত্যাগ
দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জেমি সিডন্স। অস্ট্রেলিয়ান এই কোচ গত ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসার পর থেকে তাকে নিয়ে বেশ হইচই। তাকে দেখলেই ভিড় জমাচ্ছে মিডিয়া। সবার দৃষ্টি যখন সিডন্সের দিকে, তখন পদত্যাগ করে বসলেন জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই কোচের পদত্যাগের বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তিনি জানান, বুধবার বিকেলে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন প্রিন্স। যেখানে তিনি পারিবারিক কারণের কথা উল্লেখ করেছেন।
জালাল ইউনুস বলেন, 'হ্যাঁ, প্রিন্স পদত্যাগ করেছে। আমি একটু আগে পেয়েছি মেইল। সুনির্দিষ্ট তেমন কিছু উল্লেখ করেনি, পারিবারিক কারণ বলছে আর কী।'
প্রোটিয়া এই কোচের এভাবে দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়টি বিসিবির কাছে বিস্ময়ের মনে হয়েছে। জালাল ইউনুস আরও বলেন, 'এটা বিস্ময়কর। আমরা বলছিলাম যে সে ফিরলে আমরা কথা বলে ভূমিকা ঠিক করব। আমাদের মূল দলে ছিল। এখানে যে রাখা হবে না, এমন কিছু তো চূড়ান্ত হয়নি। সে ফিরলে আলোচনা করতাম। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।'
প্রিন্স থাকা অবস্থাতেই ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে সিডন্সকে নিয়ে এসেছে বিসিবি। সিডন্স আসায় দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচের কাজের পরিধি কেমন হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে এর আগে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জালাল ইউনুস বলেছিলেন, 'প্রিন্সকে আমরা হাই পারফরম্যান্স বিভাগের দায়িত্ব দিয়ে দিব। এ ছাড়া অন্য কোথাও দেওয়া যায় কিনা, সেটা নিয়ে ভাবব। আমাদের তো অনেক কোচ লাগবে।'
জাতীয় দলের পাশাপাশি হাই পারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি) ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে সিডন্সের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বিসিবি। যদিও জালাল ইউনুস এর আগে জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলেই বেশি কাজ করবেন তিনি। জানা গেছে, এমন খবর পাওয়ার পরই বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন প্রিন্স।
বিসিবির সঙ্গে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি ছিল প্রিন্সের। কিন্তু পারিবারিক কারণ দেখিয়ে অনেক আগেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ২০২১ সালের জুনে জন লুইসের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হওয়া প্রিন্স। শুরুতে জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য প্রিন্সকে নিয়োগ দেয় বিসিবি। পরে তার কাজে সন্তুষ্ট হয় ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি বাড়ায় দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।