মুশফিকদের বিদায় করে ফাইনালের দৌড়ে টিকে রইলো চট্টগ্রাম
বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমেও খেই হারালো না খুলনা টাইগার্স। দারুণ ব্যাটিং করে ম্যাচ জমিয়ে দিল মুশফিকুর রহিমের দল। তবু শেষ ওভারে গিয়ে চাপ এড়ানো গেল না, জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়লো ১৬ রানের। তখনও উইকেটে মজুত অসাধারণ ব্যাটিং করা আন্দ্রে ফ্লেচার, সঙ্গী থিসারা পেরেরা। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের করা ওভার থেকে ৮ রানের বেশি তুলতে পারলেন না তারা। রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
সোমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এলিমিনেটর ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর খুলনা টাইগার্সকে ৭ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। এই জয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত হলো তাদের। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যকার ম্যাচে হেরে যাওয়া দলের বিপক্ষে ১৬ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে চট্টগ্রাম। অন্য দিকে এই হারে আসর থেকে বিদায় নিল খুলনা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হিরে আগে ব্যাটিং করতে নামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কেনার লুইসের পর ম্যাচসেরা চ্যাউউইক ওয়ালটনের ব্যাটিং তাণ্ডব ও মেহেদী হাসান মিরাজের দায়িত্বশীল ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৮৯ রান তোলে তারা। জবাবে আন্দ্রে ফ্লেচার, মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আরী রাব্বির দারুণ ব্যাটিংয়ের পরও ৫ উইকেটে ১৮২ রানে থামে খুলনার ইনিংস।
বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা খুলনার হয়ে ফ্লেচার, মুশফিক ও ইয়াসিরই রান করেছেন। শেখ মেহেদি হাসান, সৌম্য সরকাররা এদিন দ্রুতই বিদায় নেন। শেষ বেলায় নেমে থিসারা পেরেরা ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। ৫৮ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৮০ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন ফ্লেচার। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ডানহাতি ক্যারিবীয় এই ওপেনার ১১ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফ সেঞ্চুরিতে ৪১০ রান করেছেন, যা এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ।
দলকে জয়ের পথে রাখার মিশনে অধিনায়ক মুশফিক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ২৯ বলে এক চার ও ৪ ছক্কায় ৪৩ রান করেন। এরপর ঝড় তোলেন ইয়াসির। ২৪ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। চট্টগ্রামের মিরাজ ২টি এবং নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা চট্টগ্রামের হয়ে চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেন ম্যাচসেরা চ্যাডউইক ওয়ালটন। ডানহাতি ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান ৪৪ বলে ৭টি করে চার ও ছক্কায় হার না মানা ৮৯ রান করেন। কেনার লুইস ৩২ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করেন। শেষের দিকে মিরাজ ৩০ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। খুলনার পেসার খালেদ আহমেদ ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান নাবিল সামাদ, রুয়েল মিয়া ও শেখ মেহেদি হাসান।