যে মাইলফলক কেবল মাহমুদউল্লাহর
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ অতোটা ভালো দল নয়; ১৬ বছর ধরে সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে খেলেও এই অপবাদ ঘোচানো যায়নি। তিন ফরম্যাটের মধ্যে এখনও টি-টোয়েন্টিতেই সবচেয়ে দুর্বল বাংলাদেশ। এমন একটি ফরম্যাটে দলকে পথ দেখানোর দায়িত্ব মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাঁধে। যোগ্য হাতেই যে দলের নেতৃত্বভার আছে, সেটা আগেই প্রমাণ করেছেন তিনি।
২০ ওভারের ফরম্যাটে সব সময়ই দলের অপরিহার্য অংশ মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টি-টোয়েন্টি খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেন। শনিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১১৫তম টি-টোয়েন্টি খেলছেন তিনি।
ম্যাচের মতো এই ফরম্যাটে ব্যক্তিগত রান সংগ্রহের তালিকায়ও আগে থেকেই শীর্ষে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তার পেছনে ছিলেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালরা। এবার নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, যেখানে তিনি বাদে আর কেউ নেই।
বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ১৯৮১ রান নিয়ে আফগানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামেন তিনি, মাইলফলক ছুঁতে দরকার ছিল ১৯ রান। এদিন মারকুটে ব্যাটিংয়ে ২১ রানের ইনিংস খেলে দুই হাজার রান পূর্ণ করে নেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
ইনিংসের দশম ওভারে উইকেটে যান মাহমুদউল্লাহ। নিজের খেলা চতুর্থ বলেই বাউন্ডারি মারেন তিনি। রশিদ খানকে সুইপ করে ফাইন লেগ ও ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগের মাঝ দিয়ে বল সীমানা ছাড়া করেন বাংলাদেশ অধিনানায়ক। এক বল পর আবার একই শটে দ্বিতীয় চার আদয় করে নেন তিনি।
১৫তম ওভারে রশিদ খান আবার বোলিংয়ে আসেন। ১৬ রানে থাকা মাহমুদউল্লাহ প্রথম বলেই চার মেরে দুই হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন। তবে আফগান লেগ স্পিনার চতুর্থ বলে বিদায় করেন দেনে মাহমুদউল্লাহকে। সুইপ করতে গিয়ে টাইমিং মেলাতে পারেননি, ২১ রানে করে এলবিডব্লিউ হয়ে থামেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে ১১৫ ম্যাচে ১০৭ ইনিংসে ব্যাটিং করে ২০০২ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। দুই নম্বরে থাকা সাকিব আল হাসানের রান ১ হাজার ৯০৮। ৯৫ ইনিংসে এই রান করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। ৭৪ ম্যাচে ১ হাজার ৭০১ রান করা তামিম ইকবাল তিন নম্বরে। শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মুশফিকুরি রহিমের রান ১ হাজার ৪৯৫।