দিল্লির সহজ জয়ে ‘কৃপণ’ মুস্তাফিজ
খুনে ব্যাটিংয়ে বিশাল সংগ্রহ গড়ে বল হাতে দাপুটে শুরু। যেখানে কাণ্ডারীর ভূমিকায় মুস্তাফিজুর রহমান। তাই অধিনায়ক শ্রেয়াশ আইয়ারের হাফ সেঞ্চুরি, নিতিশ রানার কার্যকরী ইনিংসও কাজে এলো না কলকাতা নাইট রাইডার্সের। সহজ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানটা আরেকটু পোক্ত করে নিলো দিল্লি ক্যাপিটালস। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে উইকেট না পেলেও সবচেয়ে ভালো ইকোনমিতে মুস্তাফিজ আবারও বোঝালেন নিজের গুরুত্ব।
রোববার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) মুম্বাইয়ে কলকাতাকে ৪৪ রানে হারিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। চলতি আসরে এটা দিল্লির দ্বিতীয় জয়। চার ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ছয় নম্বরে আছে ঋষভ পন্তের দল।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে দিল্লি। পৃথ্বী শ, ডেভিড ওয়ার্নার ও শার্দুল ঠাকুরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ২১৫ রানের বড় সংগ্রহ তোলে তারা। জবাবে মুস্তাফিজ, ম্যাচসেরা কুলদ্বীপ যাদব, খলিল আহমেদদের দারুণ বোলিংয়ে ২ বল বাকি থাকতে ১৭১ রানেই গুটিয়ে যায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল কলকাতার ইনিংস।
ম্যাচে মুস্তাফিজ কোনো উইকেট না পেলেও সবচেয়ে কম রান দিয়ে কলকাতাকে ভুগিয়েছেন। ৪ ওভারে ২১ রান খরচা করেন তিনি। শুরুটা অবশ্য বেশ দাপুটে ছিল বাংলাদেশের বাঁহাতি এই স্পিনারের। ইনিংসের প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান খরচা করেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে কিপ্টে বোলিং করেন দ্য ফিজ, এবার খরচা মাত্র ৩ রান।
২ ওভারে মাত্র ৫ রান দেওয়া মুস্তাফিজের বাকি ২ ওভার কাজে লাগাতে তাকে আর বোলিংয়ে টানেননি ঋষভ পন্ত। ১৭তম ওভারে বাংলাদেশ বাঁহাতি এই পেসারের হাতে বল তুলে দেওয়া হয়। এই ওভারটি খুব একটা ভালো যায়নি, এক চারসহ ৯ রান দেন তিনি। শেষ ওভারে ৭ রান নিয়ে কোটার বোলিং শেষ করেন মুস্তাফিজ। ম্যাচে সবচেয়ে কম ৫.২৫ ইকোনমিতে বোলিং করেন তিনি।
তবে উইকেট নিয়ে আসল কাজটি সারেন বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদ্বীপ। ৪ ওভারে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নেন ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা ভারতীয় এই স্পিনার। বাঁহাতি পেসার খলিলও ছিলেন দারুণ ছন্দে, ৪ ওভারে ২৫ রানে তার শিকার ৩ উইকেট। এ ছাড়া শার্দুল ২টি ও ললিত যাদব একটি উইকেট নেন।