দেশের হয়েও এমন খেলা খেলতে চান সোহান
মঙ্গলবার আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। শিরোপা জয়ের পথে শেখ জামালের প্রধান ব্যাটিং অস্ত্র হয়ে উঠেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান শেষ চার ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। হারতে বাসা দুটি ম্যাচে কাণ্ডারি হয়ে বলতে গেলে একাই ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি।
এমন দারুণ একটি মৌসুম পার করার পর বড় পরিসরে ভাবতে শুরু করেছেন সোহান। শেখ জামালকে শিরোপা জেতানোর পথে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান এবার জাতীয় দলের হয়েও এমন পারফরম্যান্স করতে চান। তার ভাষায়, 'এখন আমার লক্ষ্য দেশের হয়ে ভালো খেলা।'
শেষ চার ম্যাচে সোহান ছিলেন দুর্বার, মাঠে নামলেই রানের ফোয়ারা বয়েছে তার ব্যাটে। শেষ চার ম্যাচে যথাক্রমে তিনি রান করেছেন ৭৩, ১৩২*, ৭১ ও ৮১*। সোহানের হার নামা ৮১ রানের ইনিংসটি শেখ জামালকে শিরোপা এনে দিয়েছে। তার ব্যাট থেকে অপরাজিত এই ইনিংসটি না এলে ম্যাচের মোড় অন্য দিকেও ঘুরতে পারতো।
২৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ২১ রানেই ওপেনার সাইফ হাসানকে হারায় শেখ জামাল। কিছুক্ষণ পর ফিরে যান আরেক ওপেনার সৈকত আলীও। এরপর একে একে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম, অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও রবিউল ইসলাম রবি। ৭৮ রানে ৫ উইকেট খোয়ানো দিকহারা দলের হাল ধরেন সোহান ও পারভেজ রসুল।
ষষ্ঠ উইকেট ৭২ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। পারভেজ রসুল ৪০ বলে ৩টি চারে ৩৩ রান করে ফিরে যান। একপাশ আগলে রান তুলে যাওয়া ম্যাচসেরা সোহান নতুন সঙ্গী হিসেবে পান জিয়াউর রহমানকে। সপ্তম উইকেটে ৮২ রানের অবিচ্ছন্ন জুটি গড়ে দলকে জেতান তারা। সোহান ৮১ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন।
নির্ভার হয়ে ব্যাটিং করতে পারার কারণে সাফল্য ধরা দিয়েছে বলে মনে করেন সোহান। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পরিবেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'এই ক্লাবে আমি গত চার-পাঁচ বছর ধরে খেলছি। ক্লাবের প্রতি একটা ভালোবাসা জন্মেছে। অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। এই ক্লাবের পরিবেশটা চমৎকার। সবাই মিলে এমন একটা পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে, যা শিরোপা জিততে ভূমিকা রেখেছে।'
৭৮ রানেই ৫ উইকেট হারালেও বিশ্বাস ছিল সোহানের। তার কখনই মনে হয়নি ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। সোহান বলেন, 'আমার কাছে একবারের জন্যও মনে হয়নি আমরা ম্যাচটা হারব। আল্লাহর রহমতে ম্যাচটা শেষ করতে পেরেছি। পারভেজ রসুল আর জিয়া ভাইয়ের সঙ্গে জুটির সময় নিজেরা কথা বলেছি, জিয়া ভাইকে বলেছি, শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব।'