ম্যাচ হেরে শিরোপা উৎসব সোহান-ইমরুলদের
ব্যাপারটা হয়তো একটু বিব্রতকরই হয়েছে শেখ কামাল ধানমন্ডি ক্লাবের জন্য। আগের ম্যাচ দিয়েই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিজেদের করে নেওয়া ক্লাবটির শেষটা হলো বাজে অভিজ্ঞতায়। লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে রানার্স আপ লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে মাত্র ১১৬ রানে গুটিয়ে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারতে হয় শেখ জামালকে।
যদিও এই হারের ব্যথা শেখ জামালের ক্রিকেটারদের ছুঁতেই পারেনি। এই ম্যাচে হারানোর কিছু ছিল না তাদের। হার-জিত যাই হোক, এই ম্যাচ শেষে যে হাতে শিরোপা উঠতে; সেটা তাদের জানাই ছিল। তাই বাজেভাবে ম্যাচ হারের পরও মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাউন্ডারির বাইরে রাখা শিরোপার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতেই মাঠ ছেড়েছেন নুরুল হাসান সোহান, ইমরুল কায়েসরা।
সাধারণত ম্যাচ জয়ী দল স্টাম্প নিজেদের দখলে রাখে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, শিরোপার জয় দলের নজর থাকে স্টাম্পের দিকে। কিন্তু এদিন ম্যাচ হেরেও স্টাম্পগুলো বোগলদাবা করে নিলেন শেখ জামালের ক্রিকেটাররা। রূপগঞ্জের হয়ে ৬ উইকেট নেওয়া আল আমিনের জন্য অবশ্য একটি স্টাম্প ছিনিয়ে নিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু পরে নিজেই গিয়ে স্টাম্পটি ফেরত দিয়ে আসেন।
হেরে মাঠ ছাড়লেও শিরোপা জয়ের উদযাপনে সেটার প্রভাব পড়েনি। ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রুমে অনেকটা সময় কাটান শেখ জামালের ক্রিকেটাররা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রূপগঞ্জের ক্রিকেটাররা ড্রেসিং রুম থেকে বারবার বেরিয়েও শেখ জামালের ক্রিকেটারদের না দেখে আবার ফিরে যাচ্ছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ পর চ্যাম্পিয়ন লেখা টি-শার্ট পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ইমরুল ও তার দল। এরপর শিরোপা উৎসবে মাতেন তারা।
এর আগে ম্যাচে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতা শেখ জামালকে। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে রূপগঞ্জের পেসার আল আমিনের বোলিং তোপে ৩৪.৪ ওভারে মাত্র ১১৬ রানেই গুটিয়ে যায় শেখ জামালের ইনিংস। ম্যাচসেরা আল আমিন ৮.৪ ওভারে মাত্র ৩১ রানে ৬টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট নিন চিরাগ জানি। জবাবে রাকিবুল হাসান ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে ২৫.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নেয় রূপগঞ্জ।