‘আউট’ হয়েও নট আউট ম্যাথুস
৪ উইকেটে ২৫৮ রান, হাতে আরও ৬ উইকেট। অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন সেঞ্চুরিয়ান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও দিনেশ চান্দিমাল। সব মিলিয়ে স্বস্তি নিয়েই চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিন শেষ করে শ্রীলঙ্কা। অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে দ্বিতীয় দিনটাও ভালো শুরু আশায় মাঠে নামে লঙ্কানরা।
তাদের ভালো শুরুর পরিকল্পনায় অবশ্য জল ঢেলে দিতে পারতো বাংলাদেশ, সুযোগও এসেছিল। কিন্তু নিজেদের ভুলে তা হলো না। সুযোগ পেয়েও ম্যাথুসকে ফেরানো হলো না বাংলাদেশের। অবশ্য সেটা না বলে, 'আউট করেও ম্যাথুসকে ফেরাতে পারলো না বাংলাদেশ'- বলা ভালো। কিছুক্ষণ পরই জায়ান্ট স্ক্রিনে রিপ্লে দেখে নিজেদের ভুল বুঝতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু ততোক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার, হয়ে গেছে।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই লঙ্কান অভিজ্ঞ ওপেনারকে পরাস্থ করেন খালেদ আহমেদ। বাংলাদেশের ডানহাতি এই পেসারের করা ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ধরাও পড়েন ম্যাথুস, কিন্তু বাংলাদেশের কেউ-ই বুঝতে পারেননি সেটা। হয়নি আবেদন, আম্পায়ারও তোলেননি আঙুল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চলমান টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুর দিকের ঘটনা এটা। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ৯৪তম ওভারের খেলা চলছিল, ১১৯ রানে ব্যাটিং করছিলেন ম্যাথুস। পঞ্চম ডেলিভারিটি গুড লেংন্থে করেন খালেদ, ব্যাট চালিয়ে টাইমিং করতে পারেননি ম্যাথুস। বল গিয়ে জমা হয় উইকেটরক্ষক লিটন কুমার দাসের গ্লাভসে।
ম্যাথুসের ব্যাট ছুঁয়ে গেলেও আওয়াজ ছিল না। লঙ্কান এই ব্যাটসম্যানের অঙ্গ ভঙ্গিমাও স্বাভাবিক ছিল। বাংলাদেশের ফিল্ডারদেরও মনে হয়নি ব্যাটে-বলে হয়েছে। তাই কেউ আবেদন না করে পরের বলের জন্য বল পাঠিয়ে দেন বোলারের কাছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, ম্যাথুসের ব্যাট ছুঁয়ে গেছে বল।
আগের দিনও একবার জীবন পান ম্যাথুস। ৬৯ রানে ব্যাটিং করছিলেন লঙ্কান এই ব্যাটসম্যান। তাইজুলের বলে ক্যাচ তুললেও স্লিপে দাঁড়ানো মাহমুদুল হাসান জয় তা নিতে পারেননি। জীবন ফিরে পেয়ে ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন ম্যাথুস। প্রথম দিনের শেষ বিকালে চান্দিমালের সঙ্গে ৭৫ রানের জুটি গড়া ম্যাথুস এখনও উইকেটে অবিচল। ইতোমধ্যে ম্যাথুস-চান্দিমাল জুটি থেকে ১২৫ রান পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।