আফগান প্রেসিডেন্টের সমাবেশে হামলার দায় স্বীকার তালেবানের
আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট ঘানির সমাবেশস্থলে এবং পরে কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের সামনে হামলার দায় স্বীকার করেছে তালেবান।
উত্তর পারওয়ান প্রদেশের চরাকার শহরের উপকণ্ঠে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির নির্বাচনী সমাবেশে মঙ্গলবারের প্রথম হামলাটি হয়। এক বৃদ্ধ মোটরসাইকেল আরোহীর আত্মঘাতী এ বোমা হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত ও ৪২ জন আহত হয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
এর ঘণ্টাখানেক পর কাবুলের মার্কিন দূতাবাসের কাছে আরেকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে ২২ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হন।
রয়টার্স জানায়, দুটি বোমা হামলারই দায় স্বীকার করেছে তালেবান। নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। এক বিবৃতিতে ওরা বলেছে, “জনগণকে সাবধান করা হচ্ছিল।”
তাদের ভাষায়, ‘পুতুল’ প্রশাসনের কোনো নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নিতে জনগণকে নিষেধ করার পরও যারা এটা করছে তারা আহত হলে নিজেরাই এজন্য দায়ী হবে।
এর আগে, তালেবানরা নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছিল। ভোটাররা যেন কেন্দ্রমুখী না হয় তার জন্য আফগানিস্তানের ও বিদেশি বাহিনীগুলোর সঙ্গে লড়াই তীব্র করার শপথ নিয়েছিল জঙ্গি গোষ্ঠীটি। যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তারা।
তারপর থেকে দেশজুড়ে নির্বাচনী সমাবেশগুলো ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার মধ্যেই খোদ প্রেসিডেন্টের সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটল।
কাতারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের মধ্যে মাসব্যাপী আলোচনা শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু হয়। আলোচনা ও চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সময়গুলোতে বেশিরভাগ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী তাদের প্রচারণা স্থগিত রেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন শান্তিদূত জালমে খলিলজাদ।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে ট্রাম্প টুইট করে এ চুক্তি ও আলোচনা ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করে নির্বাচনী প্রচারণা চালু করতে বলেন। তখন খলিলজাদ ও তালেবানদের মধ্যে আলোচনা পাশ কাটিয়ে ঘানি প্রচারাভিযান শুরু করেন। আলোচনা বাতিল হওয়ার পর আফগানিস্তানে সহিংসতা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছিল।
২৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দ্বিতীয় পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য এ নির্বাচনেও প্রার্থী হচ্ছেন ঘানি।