উবার-পাঠাও ব্যবহারে যাত্রীদের ভ্যাট দিতে হচ্ছে না
সাম্প্রতিক সময়ের জনপ্রিয় হয়ে ওঠা অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে (উবার, পাঠাও, সহজ, ওভাই) যাত্রীদের মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এখন থেকে চালকদের আয় থেকে নয়, যাত্রীদের কাছ থেকেও নয়, বরং শুধুমাত্র সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর প্রাপ্ত কমিশনের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১ শতাংশ উৎসে কর কাটা হবে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি সাধারণ আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে আদেশটি ১ জুলাই ২০১৯ থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর কর্মকর্তারা।
এর আগে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেটে রাইড শেয়ারিংয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ও ১ শতাংশ হারে উৎসে কর আরোপ করে সরকার। পরবর্তীতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাটহার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েও চূড়ান্ত বাজেটে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
নতুন এ আদেশের ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ভ্যাটের চাপ কমেছে মন্তব্য করেছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
এনবিআরের ভ্যাটনীতির ফার্স্ট সেক্রেটারি হাছান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার বলেন, “রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো সাধারণত মূল ভাড়ার ২০-২৫ শতাংশ কমিশন পেয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর চেয়েও কম হয়। ফলে ভ্যাটহার অনেক কমে যাবে।”
প্রকাশিত আদেশের ব্যাখ্যায় এনবিআর বলছে, গাড়ির চালক যাত্রীদের কাছ থেকে যে সেবামূল্য গ্রহণ করেন, তার আংশিক অ্যাপভিত্তিক সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পেয়ে থাকে। এখন থেকে রাইড শেয়ারিং সেবার যে অংশটুকু অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পাবে শুধু তার ওপরই যাত্রীদের ভ্যাট দিতে হবে।
কর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নির্দিষ্ট দাখিল পত্রের মাধ্যমে এ ভ্যাট প্রদান করতে হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করেছে এনবিআর।
শুরু থেকেই রাইড শেয়ারিং সেবায় ভ্যাট ও কর আরোপের বিরোধিতা করে আসছেন উদ্যোক্তারা। ভ্যাটের চাপ গ্রাহকদের ওপরই পড়বে জানিয়ে তা প্রত্যাহারে অর্থমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছেন প্রায় সব উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএর) তথ্যমতে, উবার, পাঠাও, সহজ, ওভাই, ওবোন, ইজিআর এবং পিকমিসহ রাজধানীতে ২৫টির বেশি প্রতিষ্ঠান রাইড শেয়ারিং সার্ভিস দিয়ে থাকে।
এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য ২০১৭ সালের শেষ দিকে নীতিমালা প্রণয়ন ও নিবন্ধনের উদ্যোগ নেয় বিআরটিএ। এখন পর্যন্ত ১৬টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করলেও সব শর্ত পূর্ণ করে নিবন্ধন পেয়েছে ৫টি প্রতিষ্ঠান।