বিশুদ্ধ পানি চাই : হাইকোর্ট
ওয়াসার পানির দূষণ নিয়ে শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছে ‘তারা (ওয়াসা) যদি সমস্যা সমাধান করতে পারে তাহলে ভালো। আমাদের দরকার পানি। বিশুদ্ধ পানি। আমরা বিশুদ্ধ পানি চাই।’
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ মন্তব্য করেছেন। আদালতে ওয়াসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
পানি পরীক্ষায় আদালতের নির্দেশে গঠিত চার সদস্যের কমিটির প্রতিবেদন গত ৭ জুলাই আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সেই প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার ১০টি বিতরণ জোনের ৩৪টি নমুনার মধ্যে আটটি পানির নমুনায় ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
আদালত ওই প্রতিবেদন সম্পর্কে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়ে আজ ২৪ জুলাই শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন। সে অনুযায়ি আজ বুধবার রিট মামলাটি কার্যতালিকায় ছিল।
শুনানিতে আইনজীবী এ এম মাসুম বলেন, সমন্বিত পানি পরীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ফিকাল কলিফর্ম পাওয়া গিয়েছিল। সেই প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ ছিল সেগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সে সুপারিশ অনুসারে আইসিসিডিআরবি ও বুয়েটে (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) আমাদের পানি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। রাজধানীর পাতলা খান লেনের পানির রিপোর্ট পেয়েছি। মিরপুরেরটা আগামী রোববার পাবো।
এ সময় আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, তারা (ওয়াসা) যদি সমস্যা সমাধান করতে পারে তাহলে ভালো। আমাদের দরকার পানি। বিশুদ্ধ পানি। আমরা বিশুদ্ধ পানি চাই। এটা নিশ্চিত করতে পারলে ভালো। এরপর আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ৩০ জুলাই ধার্য রেখেছেন।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করার আদেশ দেয়।
গত ১৮ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। কমিটির সদস্যরা হলেন, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মনিরুল আলম, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম বদরুজ্জামান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সাবিতা রিজওয়ানা রহমান।