শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/01/20/high_court_2.jpg)
১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাইকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী কায়সার কামাল ও মো. মাকসুদ উল্লাহ শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান।
এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষে ৫ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।
২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রুস্তম আলী এ মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন। সাজাপ্রাপ্তরা বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মী।
পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয় এবং আসামিরা খালাস চেয়ে আপিল করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, 'মামলায় আইনের অপপ্রয়োগ হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যা বিদ্বেষপূর্ণ বিচার। তদন্তও ছিল ঔদ্ধত্যপূর্ণ, দায়সারা গোছের ও কাল্পনিক।'
তিনি আরও বলেন, 'বিচারিক আদালতের রায়ে দণ্ডিত ৪৭ জনের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জন ছাড়া বাকিরা গত ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।'
১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাওয়ার পথে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে হামলার শিকার হন। ট্রেনবহর লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার অভিযোগে ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ সাতজনকে আসামি করা হয়।
পরের বছর পুলিশ কোনো সাক্ষী না পাওয়ায় আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দেয়। তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তবে আদালত সেটি গ্রহণ না করে অধিক তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠায়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলাটি পুনঃতদন্ত হয়। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল পুলিশ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৫২ নেতাকর্মীর নামে নতুন অভিযোগপত্র জমা দেয়।