ছবির গল্প: পার্কের একটি বেঞ্চ ও করোনার জার্নাল
ইংল্যান্ডের সাউথ লন্ডনে রয়েছে দীর্ঘ ক্ল্যাপহ্যাম কমন পার্ক। এই পার্কের মাউন্ট পন্ডের দিকে রয়েছে অনেস্ট টম'স নামে বিশেষ এক বেঞ্চ। ৩০ বছর আগে এই বেঞ্চ বসিয়েছেন টম নামে এক লোক। গত বছর মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত বেঞ্চটির দেখাশোনা তিনিই করতেন। বছরের সব দিন, দিনের সব সময় এই বেঞ্চে যে কেউ বসতে পারেন।
টমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, অনেস্ট টম'সে ২৭ বছর ধরে কর্মরত নাদিন নামে এক কর্মী বেঞ্চটির মাঝামাঝি পেছনে একটি ফুলদানি বসিয়েছেন। প্রতি সপ্তাহে সেই ফুলদানিতে রাখা হয় টাটকা ফুল।
হুট করেই মাথায় এক আইডিয়া এলো আমার। এই বেঞ্চে যিনিই বসুন, তার ছবিই তুলব প্রতিদিন। এভাবে কাটল ৯০ দিন।
মনে পড়ে, ছবি তোলার জন্য একদিন তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আরেকদিন দু'বার গিয়েও কাউকে বসা অবস্থায় পাইনি। আমার ছবির সেই 'নিরব বিষয়বস্তু' সেদিন ফাঁকাই পড়ে ছিল।
আগস্টে ব্রিটিশ আবহাওয়া বিশেষ রকমের বৈচিত্র্যময় হয়ে ওঠে। কখনো তাপপ্রবাহ, আবার কখনো নেমে আসে প্রবল বর্ষণ। এছাড়া এই বেঞ্চে সময়ের পালাবদলের ছবিও তুলেছি আমি: প্রতি সপ্তাহে টাটকা ফুল, আবার সপ্তাহান্তে সেগুলোর শুকিয়ে যাওয়া; ঝলসে যাওয়া ঘাসের রঙ মাসের শেষে বৃষ্টিতে ধুয়ে সবুজ হয়ে ওঠা।
করোনার দিনগুলোকে এই বেঞ্চে বসে থাকা লোকগুলো বর্ণচ্ছটার প্রতিযোগিতার পান দেখা। তাদের গল্পগুলোর অনেকটাই আমার পড়া ও শোনা, তবু চেহারা ছাপিয়ে সেগুলো যেন অন্যতর বাস্তব হয়ে ওঠে। এই যেমন, প্রজেক্টির শেষদিনে ছবি তুলেছি যে নারীর, সেই ইভোনের অবিশ্বাস্য রকমের নাড়া দেওয়া কাহিনি যেন আমাদের নিয়ে যায় আরেক দুনিয়ায়।
করোনাভাইরাস যেভাবে সংস্কৃতির অংশ
অনেস্ট টম'সে টিমোথি প্রথম আসেন মে মাসে। তিনি তখন সপ্তাহান্তে ক্ল্যাপহ্যাম কমনের ল্যামবেথ কাউন্সিলে কাজ করতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে, সপ্তাহের কর্মদিবসগুলোতে সিডেনহ্যামে নিজের প্রতিষ্ঠানে পেইন্টার ও ডেকোরেটর হিসেবে কাজ করেন।
জ্যামাইকান বংশোদ্ভুত টিমোথি বলেন, 'এটি (করোনাভাইরাস) আমার মনে মোটেও বিরক্তি জাগায় না।... এ নিয়ে যেন কোনো ঝামেলা পোহাতে না হয়, সেজন্য নির্দিষ্ট কিছু কাজ-কারবার করি।... এটি আমার সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। এ কারণে আমি স্বাভাবিক জীবনযাপন করি।... এটি নিয়তি হয়ে গেছে। এই ভাইরাসে আমার পরিচিত এক মেয়ে আক্রান্ত হয়েছিল। সে এখনো বেঁচে আছে। তাকে আমি দেখতে যাই, যেন প্রয়োজনে সাহায্য করতে পারি।'
কুকুরের সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে...
ডেভ'স পস নামে একটি ডগ-ওয়াকিং, ক্যাট-ফিডিং অ্যান্ড পেট-সিটিং ব্যবসা চালান ডেভ। অনেস্ট টম'স বেঞ্চে ছয় বছর ধরে আসা-যাওয়া করেন। কেননা, এটি তার প্রাত্যহিক ডগ-ওয়াকিং রুটেই পড়ে। তার এই ছবি যেদিন তুলেছি, সেদিন লুনা নামের কুকুরটিকে তিনি হাঁটাতে এনেছিলেন।
ডেভ বলেন, 'আমাদের ব্যবসার ওপর (করোনাভাইরাস) মারাত্মক আঘাত হেনেছে। খদ্দেররা ব্যবসা হারিয়েছেন বলে আমরা কিছু কুকুর হারিয়েছি... যদিও আমরা এখনো বিনামূল্যেই তাদের কুকুরগুলোকে হাঁটাচ্ছি। আমাদের বিড়ালের ব্যবসায় ধস নেমেছে; কেননা, কেউই বাসা থেকে বের হতে এবং নিজেদের বিড়ালগুলোকে (আমাদের হাতে) ছাড়তে নারাজ।'
মধ্যাহ্নভোজের ফাঁকে
টমের বেঞ্চে বসে মধ্যাহ্নভোজের অপেক্ষারত তিন প্রজন্ম: পেনেলোপি, রাত মেয়ে রেবেকা, রেবেকার পার্টনার জেমি- যিনি কি না একটি খাদ্য উৎপাদন ব্যবসার পরিচালক, এবং তাদের ছেলে ম্যাক্স। মাসখানেক আগে অনেস্ট টম'স নজরে পড়ে জেমির। এরপর থেকে তারা এখানে এসেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন। কোভিড-১৯ কীভাবে তাদের জীবনকে পাল্টে দিয়েছে, তা নিয়ে কথা বললেন তারা।
রেবেকা: 'ছোটদের দলে মিশতে দিচ্ছে না, শুধু তা-ই নয়...।'
জেমি: '...শুধুই বাড়িতে থেকে কাজ করা... এই শর্ত জীবনকে উলট-পালট করে দিয়েছে। আমার তো এখন এখানে থাকার কথা নয়; এখন আমার ওয়াপিং অঞ্চলে, অফিসে থাকার কথা।'
মৃত্যুর ছায়া
এমিন (বাঁয়ে) ও তার বন্ধু পল। এমিনের জীবনে একটা বড় অংশ হয়ে রয়েছে অনেস্ট টম'স। ২০ বছর ধরে তিনি এখানে আসেন। দিনে সাধারণত কয়েকবার আসেন। কখনো কখনো স্ত্রী সেইলাকেও নিয়ে আসেন সঙ্গে। এখানে এসে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা ও গল্প করেন।
অন্যদিকে, পল এখানে আসছেন অন্তত ৩০ বছর ধরে। তার জন্ম এ অঞ্চলেই। নিজের কুকুরগুলোকেও সঙ্গে আনেন।
এমিন: 'এই জায়গা সাত সপ্তাহ বন্ধ ছিল।... এখানকার লোকজনকে আমি তখন ভীষণ মিস করেছি। অন্যথায়, (করোনার দিনগুলো) খারাপ কাটেনি। সেইলাকে সারাক্ষণ পাশে পেয়েছি। আমার পরিচিত বেশ কিছু লোক এই ভাইরাসে অসুস্থ হয়েছেন; তবে তারা এক সময় সুস্থও হয়ে গেছেন।'
পল: 'ফেব্রুয়ারিতে আমার মা মারা গেছেন। সাফোক অঞ্চলে, তার বাংলোতে গিয়েছিলাম আমি। সেখানে পাঁচ সপ্তাহ আটকে পড়েছিলাম। ফেরার কোনো গাড়ি পাইনি। সেখানে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। ভীষণ ভয়ানকভাবে। শেষদিকে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। তবে পরে একটা মিনিক্যাব কোম্পানির সাহায্য নিয়ে লন্ডনে ফিরতে পেরেছি। অবশ্য সেজন্য প্রচুর টাকা খরচ করতে হয়েছে আমাকে। এরপর সোজা হাজির হয়েছি ডাক্তারের কাছে। তখন জেনেছি, আমি কোভিড আক্রান্ত নই।'
বাইকারের অপেক্ষা
মাত্র কয়েক সপ্তাহ ধরে এখানে আসছেন ভিক্টর [বাঁয়ে]। হার্ভি আসছেন দুয়েক বছর ধরে। পেশায় তিনি ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার; তবে ফুড ডেলিভারির কাজে বন্ধুকে মাঝে মধ্যে সাহায্যও করেন। বেশিরভাগ দিন অনেস্ট টম'সেই একত্রিত হওয়া একটি মোটরবাইকার ফ্রেন্ডস দলের সদস্য তারা। তাদের কেউ কেউ এই বেঞ্চকে ব্যবহার করেন ডেলিভারু ও উবার ইটসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর খাবার ডেলিভারি করার অর্ডার আসার আগ পর্যন্ত অপেক্ষায় জায়গা হিসেবে।
ভিক্টর: 'উবার ইটসের খাবার ডেলিভারির কাজ করছি এখন। প্রতিদিনই কাজ করি। ভালোই আছি।'
হার্ভি: 'জীবনের প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি ঠিকই, একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে করার মতো যথেষ্ট পার্ট-টাইম কাজ পাওয়ার সুযোগ নেই।'
'কিচ্ছু করার নেই'
তিন বছর ধরে সপ্তাহে দুয়েকবার এখানে আসেন ম্যাট। তিনি ইলেকট্রিশিয়ান।
বলেন, 'আমি যে কোম্পানিতে কাজ করতাম, কোভিড সেটিকে পুরোপুরি ধসিয়ে দিয়েছে। আমি এখন স্বনির্ভর; বলা হচ্ছে, পরবর্তী নির্দেশের আগ পর্যন্ত যেন বাড়িতেই বসে থাকি...। এখনো সবকিছু বন্ধ এখানে। আমার কোনো আয় নেই। তাই কোনো না কোনো ধরনের কাজ আমাকে খুঁজে বের করারই ছিল। এখন কিছু কাজ পেয়েছি, যদি অদৌ সেটিকে কাজ বলা যায়! টাকা কিছু পাচ্ছি, তবে আগে যা আয় করতাম, সেই তুলনায় নগন্য।'
চাকরির নিরাপত্তা
মার্ক আর স্টেফেন- দুই ভাই। এখানে প্রায় ২০ বছর ধরে আসছেন তারা, তবে নিয়মিত আসছেন চার বছর ধরে। প্রতি রোববার এখানে এসে একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। এজন্য বেকেনহ্যাম থেকে ভ্রমণ করে আসতে হয় স্টেফেনকে।
মার্ক: 'নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খাবার ও এক্সারসাইজ ছাড়া অন্য কোনো কারণে বাড়ি থেকে খুব একটা বের হই না। তবে মালি হিসেবে জমিনে ও বাগানে কাজ করতে পারি।'
স্টেফেন: 'লকডাউনের দিনগুলো আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। এই খোলা পরিবেশে নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ করাটা আমাদের জন্য বরাবরই খুব জরুরি। অনেস্ট টম'স যখন বন্ধ ছিল, তখনই উপলব্ধি করলাম, কোভিড আসলে আমার প্রাথমিক ধারণার চেয়ে অনেক বেশি গুরুতর। এত বছর ধরে নিয়মিত এখানে আসছি, এর আগে তো এটাকে কোনোদিন বন্ধ থাকতে দেখিনি। কাজের কথা যদি বলি, এটি (কোভিড) আমার ওপর সত্যি কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। আমাকে দুশ্চিন্তা করতে হয়নি। আমি সরকারি চাকরিজীবী। আগেও কিছুদিন বাসা থেকে অফিস করতে অভ্যস্ত ছিলাম। এখন স্থায়ীভাবেই বাসা থেকে অফিস করতে হচ্ছে। আমার ধারণা, বছরটি ফুরানোর আগেই আবারও অফিসে যাওয়ার নির্দেশ আসবে, যদি পরিস্থিতি সে রকম থাকে।
দাদার বেঞ্চে
তিনি হলি। টমের নাতনি। তার বাবা সাইমন এখন অনেস্ট টম'সের মালিক ও পরিচালনাকারী। এখানে বিকেলের শিফটে কাজ করেন হলি। ৩০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার, মার্চে টম'স বন্ধ করে দিতে বাধ্য হওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে, গত জানুয়ারি কাজ শুরু করেছেন। তিনি একজন গ্রাফিক আর্টিস্টও।
হলি বলেন, "টম'স বন্ধ থাকায় ১০ সপ্তাহ বেকার ছিলাম। ছুটির দিনগুলো ভালোই কেটেছে! সারাদিন গ্রামাঞ্চলে সময় কাটিয়েছি। মাঠে দীর্ঘক্ষণ ধরে হেঁটে বেড়িয়েছি। যদিও বেতন পেতাম না, তবে আশেপাশের সহযোগিতা পেয়েছি। মনে হয়েছে, (করোনার দিনগুলোতে) বাকি সবাই যেন কঠোর পরিশ্রম করছেন। এই যেমন, আমার পার্টনারকে (একজন পুলিশ কর্মকর্তা) অনেক বেশি খাটতে হয়েছে।
প্রবাসে বিপদ
জীবনে এই প্রথম টমের বেঞ্চে বসলেন জো। এ অঞ্চলে প্রায়-সময়ই দৌড়াতে আসেন, তবে আজ একটু বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে হলো তার। এনএইচএস হাসপাতালে স্পিচ থেরাপিস্ট হিসেবে কর্মরত তিনি। মানসিক স্বাস্থ্য ও ফরেনসিক নিয়ে কাজ করেন।
জো বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ায় আটকা পড়ে গিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যক্রমে সেখানেই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হই। আমি আসলে দুই সপ্তাহের ছুটি কাটাতে গিয়েছিলাম, কিন্তু থাকতে হলো আড়াই মাস। ফিরে আসতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে। বিমান ভাড়া ছিল আকাশচুম্বী। তাছাড়া বারবার ফ্লাইট বাতিল হচ্ছিল। এমন দুর্ভাগ্যের ভেতর দিন গেছে আমার। তবে দেশে ফিরে বেশ ভালো আছি। এনএইচএসে কাজ করছি। ভালোই আছি। আমি আসলে ভাগ্যবতী। কাজে ব্যস্ত থাকছি।'
কৈশোরের আশ্রয়
বৃষ্টি শুরু হতেই বেঞ্চটিতে আশ্রয় নিল তিন কিশোর- ফ্রেডি, রব ও টে কিপা। স্কুলে জিসিএসই'র ফাইনাল বর্ষের শিক্ষার্থী তারা। অনেস্ট টম'সে প্রথম এসেছিল অল্প কিছুদিন আগেই।
বলল, 'সব ঠিকই আছে... বাসায় থাকছি... বাইরে যাচ্ছি না... তবে কাজ-কারবার একটু কঠিন হয়ে পড়েছে!'
নির্দিষ্ট বয়সের বিপরীত বোধ
এই প্রথম টমের বেঞ্চে বসলেন মার্গারেট। এসেছেন টনির সঙ্গে। টনি এখানে নিয়মিত, প্রতি সপ্তাহে দুই-তিনবার স্টকওয়েল থেকে বাইক চালিয়ে আসেন। তারা দুজন বন্ধু এবং 'এক নির্দিষ্ট বয়সের' লোকেদের একটি সংগঠনের সদস্য।
মার্গারেট: 'এটা (করোনাভাইরাস) নিয়ে আমার কোনো উৎকণ্ঠা নেই। বয়স ৮১ হয়ে গেছে। এ নিয়ে উৎকণ্ঠায় ভোগার সময় নেই। তবে নিজেকে একা না লাগলেও, বন্ধুদের সঙ্গে ঘরোয়া অনুষ্ঠান মিস করি।'
টনি: 'এ খুবই কঠিন সময়। আমি একা থাকি। তাই খানিকটা নিঃসঙ্গ বোধ করি। গ্রীষ্মকালে সাধারণত সুইডেনে যাই। খুব কাছের এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ কাটিয়ে আসি। এ বছর সেটা খুব মিস করছি। খুবই কঠিন সময় যাচ্ছে।
শেষ বিদায় হয়নি বলা
৯ মাস ধরে চালানো এই প্রকল্পের শেষ ছবি এটি। আর শেষ ছবি তুলতে গিয়ে মুখোমুখি হয়েছি ইভোনের এক হৃদয়ছোঁয়া গল্পের। বহুদিন ধরেই অনেস্ট টম'সে আসছেন তিনি; যখন কাজটি শুরু করেছিলেন টম, তখন থেকেই। বাড়ি কাছেই হওয়ায় সপ্তাহে দুই-তিনবার আসেন। সারা মুখে আলোকিত হাসি ফুটিয়ে ইভোনে জানালেন, তিনি এখন প্রপিতামহী।
বললেন, '(করোনাভাইরাসে) আমার স্বামী মারা গেছেন। বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অ্যাম্বুলেন্স আসতে কয়েক ঘণ্টা লেগে গিয়েছিল। আমরা তাকে সেন্ট জর্জ হাসপাতালে নিতে পেরেছিলাম। তারা তাকে হাসপাতালে রেখে দিলেন। তিনি হাঁটতে পারতেন না। ওখানে কয়েক সপ্তাহ ছিলেন। তারপর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আমি ও আমার দুই মেয়ে তার দেখা আর পাইনি। কোনো যোগাযোগ করতে পারিনি। শেষ বিদায়ও পারিনি জানাতে। এপ্রিলের শুরুতে মারা গেছেন তিনি। মের আগ পর্যন্ত তাকে কবর দিতে পারিনি। এখন আমি একদম একা। এ ছিল এক দুঃস্বপ্ন। এ এখনো দুঃস্বপ্নই।'
- দ্য গার্ডিয়ান থেকে অনুবাদ: রুদ্র আরিফ
[সংক্ষেপিত]