নতুন লক্ষ্যে এগিয়ে যান নতুন বছরে
এসেছে নতুন বছর। নতুন বছরে নিজেকে কি উপহার দেবেন? নতুন করে গড়ে নিতে পারেন নিজেকেই। পুরানো, জরা-জীর্ণ অভ্যাসগুলো ঝেড়ে ফেলে হয়ে উঠুন পরিপূর্ণ একজন আপনিতে।
নতুন বছর আপনাকেও নতুনের জন্য আহ্বান জানায়। আপনার জীবনকে আরও আশাবাদী এবং আরও উন্নত করতে আপনি নিতে পারেন এমন অনেকগুলি রেজোলিউশন রয়েছে। আপনি যদি এখনও এই বছরটিতে লক্ষ্য স্থির করবেন তা নিয়ে দ্বিধান্বিত থাকেন, তবে আপনার শুরু করার জন্য কিছু বিষয় এখানে বলা জরুরি। দেখুন কোনটা ভালো লাগে, নিজের জন্য কোন সঙ্কল্পগ্রহণ করেছেন আপনি।
১. জিমে যান
প্রায় সকলের তালিকায় সবার আগে অন্তর্ভুক্ত বিষয়টি হলো জিমের সদস্যপদ নেওয়া আর শরীর চর্চা শুরু করা। কিন্তু এই প্রতিজ্ঞা তালিকাতেই যেন এবার আর না থেকে যায়। ফিট হওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ফিট এবং সুস্থ এক দশক শুরু করুন।
২. ছুটি কাটান
ব্যস্ততা আর কাজের ফাঁকে প্রিয়জনদের সঙ্গে ছুটি কাটাতেই ভুলে যাচ্ছি। এই নববর্ষে ব্যস্ততার সেই অজুহাত ভুলে যান, এখনই পছন্দের ডেস্টিনেশনের টিকিটগুলো বুক করে ফেলুন ।
৩. আরও বই পড়ুন
স্মার্টফোনগুলো প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় প্রতিটি তথ্য হয়তো সরবরাহ করে। তবে একটি নতুন বই শুরু করা আপনাকে কেবল আপনার শব্দভাণ্ডার বাড়াতেই সাহায্য করবে না, এটি একটি নতুন বিশ্বের দরজা উন্মুক্ত করবে আপনার সামনে। যত বেশি পড়বেন, আপনাকে বিভিন্ন মতামত আরও ভালভাবে বুঝতে সহায়তা করবে।
৪. ধূমপান ছাড়ুন
যারা প্রতি বছর একবার করে প্রতিশ্রুতি দেয়- ব্যস, এবারই ছেড়ে দিচ্ছি, আর ধূমপান নয়, তাদের বলছি। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পরিবর্তনটি করার জন্য এই নতুন বছরটি সেরা সময়। স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যাগুলো যে হারে বাড়ছে, সিগারেট ছেড়ে দিলে তা কেবল আপনাকে নয় আপনার চারপাশের পরিবেশকেও সুস্থ রাখবে।
৫। একঘেয়ে কাজটি পাল্টে ফেলুন
একটি অবসন্ন চাকরিতে আটকে আছেন, কিন্তু প্রতিদিনের খরচ বাড়ার কারণে ছেড়ে যেতে পারছেন না? এই বছর সাহস করে পদক্ষেপটা নিয়েই নিন। জ্ঞানীরা যেমন বলেন, যখন একটি দরজা বন্ধ হয়, তখন অন্য একটি খুলে যায়।
৬। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান
প্রযুক্তি বিশ্বকে আমাদের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতেই পারে, তবে এটি পরিবারের মধ্যে একটি দূরত্ব তৈরি করেছে। এই বছর, এই ব্যবধানটি পূরণ করুন এবং আপনার বাবা-মা, বোন, ভাইকে কল করুন, সময় কাটান প্রিয়জনদের সঙ্গে। আপনার পরিবার আপনার পাশে থাকলে জীবনটি কিছুটা সহজ মনে হবে।
৭। বেশি করে পানি খান
একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্কল্প- নিজেকে হাইড্রেট করুন, মানে আরও বেশি করে পানি পান করুন। আপনাকে আপনার সিস্টেম পরিষ্কার করতে সহায়তা করবে। আপনার মস্তিষ্ক আরও ভাল কাজ করবে এবং আপনার পিম্পলগুলিকেও বিদায় জানাতে পারবেন।
৮। কোনো এনজিওতে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করুন
সমাজের জন্য কিছু করুন। কোনো এনজিওর জন্য স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে শুরু করতে পারেন। এতে কেবল আপনাকেই সুন্দর বোধ করাবে না, সমাজকেও উন্নতির দিকে এক ধাপ এগিয়ে নেবে।
৯। পুরানো জামাকাপড়গুলো বিলিয়ে দিন
আপনার পুরনো পোশাকগুলো দরিদ্রদের মাঝে দান করতে পারেন। অন্য ব্যক্তিকে সাহায্য করলে দেখবেন নিজের মাঝেও তৃপ্তি খুঁজে পাবেন।
১০। একটি জার্নাল রাখুন
দিন দিন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। আর তাই আপনার মানসিক সুস্থতার উপরও নজর রাখা জরুরি। একটি জার্নাল আপনাকে আপনার অভ্যন্তরীণ আকাঙ্ক্ষা, অভিযোগ, মন্তব্যগুলো লিখে রাখতে পারেন জার্নালে। ধ্বংসাত্মক কোনো কিছু করতে চাইলে জার্নাল লেখার অভ্যাস আপনার মনকে অন্যদিকে চ্যানেল করবে।