১৭ বছর ধরে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিচ্ছেন তিনি, এবার ১৯তম বার
'বাংলাদেশের আয়রনম্যান'খ্যাত মোহাম্মদ শামসুদ্দিন আরাফাতের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টেই প্রথম চোখে পড়লো ছবিটি। আপাতদৃষ্টিতে বেশ সাধারণ হলেও, ক্যাপশন পড়ে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ। ২০০৬ সাল থেকে যিনি প্রতিবছর ১৬.১ কিলোমিটার পথ সাঁতরে পাড়ি দিয়ে চলছেন, সেই লিপটন সরকারও রয়েছেন ছবিতে। আজ বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার আয়োজনে অংশ নিয়েছেন তিনি। এবার নিয়ে টানা ১৯বার লিপটন পাড়ি দিচ্ছেন এই চ্যানেল।
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের ফেরিঘাট পর্যন্ত ১৬.১ কিলোমিটারের একটি পানিপথ হচ্ছে বাংলা চ্যানেল। আর এই চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার মতো দুঃসাহসিক অভিযান তাও এক-দুবার নয়; গুণে গুণে ১৭ বার (২০১২ সালে ২বার পাড়ি দেন, সেই হিসেবে ১৭) পাড়ি দিয়েছেন তিনি।
ভয় লাগে না? প্রশ্নটা ছিল সরাসরি এই দুঃসাহসিক অভিযাত্রী লিপটন সরকারের কাছেই। সোজাসাপ্টা উত্তর, "প্রত্যেকবারই শুরুর পর একটা পর্যায়ে গিয়ে মনে হয়, এই শেষ আর না, আর পাড়ি দেব না কখনও। তবে যেই সেন্টমার্টিনের পাড়টা দেখি, ওমনি সব ভাবনাই কই যেন উবে যায়।" এবার মোট ৩২ জনের একটি দল টেকনাফে পৌঁছেছেন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে, জানলাম তার কাছেই।
২০০৬ সালে প্রথম বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন মোট ৩ জন। তবে এর কিন্তু বেশ বড় ইতিহাস রয়েছে। আর তার পেছনের কারিগর ছিলেন কাজী হামিদুল হক। বাংলা চ্যানেল বলে এখন যে পানিপথটি পরিচিত, সেটির আবিষ্কারক ছিলেন তিনি। পড়াশোনা শেষে হামিদুল পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সত্তরের দশকে ডুবসাঁতারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি, শেখেন আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি। সমুদ্রের ২০০ ফিট নিচ পর্যন্ত স্কুবা করতেন তিনি। এরপর নব্বইয়ের দশকে দেশে ফিরে আসার পর প্রায়ই যেতেন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন, সেখানে যে একটা সাঁতারের পথ রয়েছে সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পান হামিদুল। ২০০০ সালের দিকে 'ঢাকা বেসক্যাম্প' নামে হামিদুল-লিপটনের একটি অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব ছিল।
"আমিসহ বেশ কয়েকজন মিলে বেসক্যাম্পটা চালাতাম, হামিদ ভাইও আসতেন সেসময় আড্ডা দিতে। অ্যাডভেঞ্চারটা কেবল শুরু বলা চলে বাংলাদেশে। আর উনি যেহেতু বাইরে প্রচুর অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাই উনার কাছ থেকে আমরা বিভিন্ন ঘটনা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতাম। প্রথম হেডল্যাম্প আর তাঁবুও ওনার কাছেই প্রথম দেখা!"
এরকমই এক আড্ডায় সেন্টমার্টিনে বাংলা চ্যানেলের প্রসঙ্গ তোলেন হামিদুল। তিনি যে প্রফেশনালদের মতো খুব ভালো সাঁতার জানতেন তাও নয়, বাকিদেরও একই অবস্থাই ছিল। "সাঁতার সম্পর্কে তেমন কোনো আইডিয়াও ছিল না। শুধু জানতাম ব্রজেন দাসের ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার বিষয়টি। কিন্তু তখন আমরা তিন বন্ধু বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখি, কারণ আমাদের বিশ্বাস ছিল যেহেতু হামিদ ভাই বলেছেন, উনি নিশ্চয়ই আন্দাজে বলবেন না। সেইসময় উনাকে জিজ্ঞেস করলাম যে এটা কীভাবে করা যাবে?"
তখন হামিদুল জানিয়েছিলেন তিনিও সাঁতরে পাড়ি দেবেন এ পথ, যারা আগ্রহী তারা যেন তার সঙ্গে ট্রেনিং নেয়। ট্রেনিং এর আগে যেখানে তারা ৫-১০ মিনিটও তারা সাঁতার কাটতে পারতেন না, সেইখানে ১০-১২ কিলোমিটার টানা সাঁতার শিখে গেলেন অল্প কয়েকদিনের ভেতরই। বেশকিছু টেকনিকও শিখে নিয়েছিলেন সেসময়।
সাঁতার নয়, যেন নেশা!
"সমুদ্রের হাঁটুপানির অংশের পর সামনে কী আছে তা দেখার ইচ্ছা ছিল অনেক। তবে কখনও সেই সৌভাগ্য হয়নি। ২০০৬ সালের ১৩ জানুয়ারি জলরাশির কিছুটা গভীরেই চলে যাই। বন্ধুদের সঙ্গে অনুশীলন করতে গিয়ে নিঃসন্দেহে অন্যরকম এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছিল।" প্রথমদিনে সমুদ্র জলরাশির কম্ফোর্ট জোনের বাইরে যাওয়ার সেই অভিজ্ঞতা তাই এখনও বেশ স্পষ্টভাবেই মনে রেখেছেন রেকর্ডসৃষ্টিকারী এ বাংলা চ্যানেলজয়ী।
এরপর দিন ১৪ জানুয়ারি এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সকাল ৮টার দিকে সালমান সাঈদ, ফজলুল কবির সিনাহ, রফিকুল ইসলাম, কামাল আনোয়ার বাবু, খসরু আহমেদসহ মোট ৭ জন মিলে প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে রওনা দেন। ১৪.৪ কিলোমিটার পাড়ি দিতে ৫ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে এমন ধারণা দেওয়া হয়েছিল তাদের। সঙ্গে ছিল ছোট-বড় দুটো বোট, একটা রুট দেখাবে, আরেকটা সঙ্গে স্ট্যান্ডবাই থাকবে পানি, মধু নিয়ে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা পিপাসার্ত হলে তাদের সাহায্য করার জন্যই রাখা হয়েছিল।
লিপটনসহ তার আরও দুই বন্ধু মিলে ঠিক করেন, যতো যাই হোক, তারা কেউ কারো থেকে আলাদা হবেন না। কিন্তু বিধিবাম, সাঁতরানোর একপর্যায়ে লিপটনের খেয়াল হলো তার চারপাশে শুধুই পানি, আর কেউই নেই। বোটও না, বন্ধুরাও না! অন্তরাত্মা শুকিয়ে যাওয়ার অবস্থা যখন সেইসময় দেখা পান বাকিদের। একনাগারে সাঁতার কাটতে গিয়ে কোন ফাঁকে যে বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে গেছিলেন টেরও পাননি। পরে দেখলেন, দুটো নৌকাই পেছনে পড়ে যায়। যাহোক, সে যাত্রায় পানি ছিটিয়ে কোনোমতে দৃষ্টি আকর্ষণ রক্ষা পেয়েছিলেন। তবে সেই সময়ে মূল সাঁতারের শেষ পর্যন্ত অংশ নেননি হামিদুল।
জানালেন, প্রথমবার সাড়ে তিন ঘণ্টা সাঁতার কাটার পর সেন্টমার্টিনের ছায়া দেখতে পান লিপটন। সেইসময় খুশিতে চোখে পানি চলে আসে। আর এতোটুকুতেই আরও বেশি সাঁতরানোর স্পৃহা যেন অনেকটাই বেড়ে যায়। মোট ৫ ঘণ্টা ১০ মিনিট সাঁতরানোর পর শেষ পর্যন্ত তীরে পৌঁছান তারা। তবে বর্তমানে ২ ঘণ্টা ৫৯ মিনিটে এ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার রেকর্ডও রয়েছে। আর, এক্ষেত্রে বয়সও তেমন কোনো বড় বিষয় নয়, গতবছরই নাকি ১১ বছর বয়সী এক ভারতীয় শিশু পাড়ি দিয়েছিল এ পথ!
লিপটনের ভাষ্য, সাঁতারের পুরো ব্যাপারটি নাকি একদম নেশার মতো। শুধু তার জন্যই নয়, যারা এখন পর্যন্ত একবার সমুদ্রে জলরাশিতে নিজেকে মেলে দিয়েছেন, প্রত্যেকের কাছেই যেন বিষয়টি একইরকম। অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে দুটো বিষয় কাজ করে। প্রথমত, সারাবছরই শরীরচর্চার ভেতর থাকতে হয়, এতে শরীর ভালো থাকে। দ্বিতীয়ত, প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই এটি একদম নেশার মতো হয়ে যায়। আর নেশা যে তার প্রমাণ মিলল কিছুক্ষণের ভেতরেই। নিজেই জানালেন, ২০০৬ সালে সেই যে শুরু হয়েছে, তখন থেকে প্রতিবছরই প্রচুর মানুষ বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে আগ্রহী থাকে।
তবে ২০১০ সাল ছিল পুরো উল্টো। সেবার আর কেউই ছিলেন না লিপটনের সঙ্গে। শেষমেষ বাধ্য হয়ে একাই সাঁতার কাটেন পুরো চ্যানেল!
নাম বাংলা চ্যানেল কেন?
লিপটন জানালেন, প্রথমবারের ওই সফর শেষে একমাস পর একটি প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়, সেখানেই প্রথম সাঁতারের রুটটির নাম 'বাংলা চ্যানেল' দেন হামিদুল।
২০১২ সালে বাংলা চ্যানেলের রুটে কিছুটা পরিবর্তন আসে বলে জানালেন লিপটন। প্রথমদিকে চ্যানেলটার সাঁতারপথ ১৬.৫ কিলোমিটার ছিল না, শাহপরীর দ্বীপের একদম শেষ মাথা থেকে সাঁতার শুরু হতো। তাই তার দূরত্ব ছিল ১৪.৪ কিলোমিটার।
তিনি জানান, নেদারল্যান্ডসের গায়ক ভ্যান গুই মিলকো সেবছর বাংলা ছ্যানেল পাড়ি দেন, তখন তিনি সাঁতারের পথটিকে ১০ মাইল বা 'ম্যারাথন সুইমিং' করার কথা বলেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী সাঁতারের যাত্রাপথ শাহপরীর থেকে সেন্টমার্টিন জেটি (দুই জেটির দূরত্ব ১০ মাইল বা ১৬.১ কিলোমিটার) পর্যন্ত ধরা হয়।
তবে ভয়ের তেমন কোনো কারণ নেই জানালেন। এ পর্যন্ত কোনো ভয়ংকর প্রাণীর মুখোমুখি হতে হয়নি তাকে। পুরো রুটটিতে ২ থেকে ৩ ধরণের স্রোত থাকে, এরমধ্যে কিছু স্রোত নাফ নদী থেকে সাগরে যায়, আবার সাগর থেকে নাফ নদীতে যায়। এটুকু বাদে তেমন বিপদে পড়তে হয়না। তবে একবার খুব ঘাবড়ে গেছিলেন লিপটন। চ্যানেল ধরে সাঁতার কাটছেন এরকম সময় হঠাৎ করে 'কিছু একটা' তার সামনে এসে পড়ে। ভয়ে যখন আত্মারাম খাঁচাছাড়া সেইসময় আবিষ্কার করলেন, তেমন কিছুই নয়, নারকেলে ডাল বা পাতা জাতীয় কিছু ভেসে বেড়াচ্ছে।
চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার সময় কখন, কী কী লাগে, খরচই বা কেমন
প্রতিবছর সাধারণত নভেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার আয়োজন করা হয়। এসময়ের মধ্যে সাগর বেশ শান্ত থাকে বলে জানালেন এ সাঁতারু।
লিপটনের মতে, সাগর শান্ত অবস্থায় অনেকটা পুকুরের পানির মতোই থাকে। তবে একটু বাতাস হলেই তাতে ঢেউ হয় অনেকখানি। একেকটা ঢেউ ৭ থেকে ৮ ফুট উচ্চতারও হয়। তবে তারা সমুদ্র উত্তাল কখনোই পাননি। গত বছর মার্চে আয়োজন করায় সেবার সাগরের কিছুটা উত্তাল রূপ দেখতে পেয়েছিলেন। সেজন্য ৭৯ জন চ্যানেলটি পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও শেষ পর্যন্ত মোট ৫৩ জন সেন্টমার্টিন পর্যন্ত যেতে পেরেছিলেন।
আর পোশাকের ক্ষেত্রে, গগলস, মাথার ক্যাপ ছাড়া সাঁতারের সময় আর কিছুই লাগে না। প্রথমদিকে সুইমিং স্যুট পরে সাঁতার কাটলেও, ২০১৩ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিকভাবে সুইমিংয়ের নিয়ম যা, তাই মানা হয়- এমনটি জানা গেল লিপটনের কাছে।
সাঁতারের পোশাকের জন্য তেমন কোনো খরচ না থাকলেও প্রত্যেক সাঁতারুর জন্য বোট, উদ্ধারকর্মী দিতে হয়, এছাড়া সাঁতারুদের নিয়ে যাওয়া-নিয়ে আসায়ও বেশ বড় একটা অংক খরচ হয়। সবমিলে একেকজনের পেছনে ৩০ হাজারের বেশি খরচ পড়ে যায়। ব্যক্তিগতভাবে স্পন্সর যোগাড়ের মাধ্যমেই সাধারণত এ আয়োজন করা হয়। তবে এ বছর কোনো স্পন্সর যোগাড় করা যায়নি বলে সবাইকে ২৫ হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে। যদিও শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ কমিয়ে ১৫ হাজার টাকা ধরা হয়েছে।
লিপটনের 'ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার' ও 'এক্সট্রিম বাংলা'- এ দুটি অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের পক্ষ থেকে এ আয়োজন করা হয় বলে জানালেন তিনি। তবে এর সঙ্গে সরকারি কোনো পৃষ্ঠপোষকতা নেই, বরং একদম মনের আনন্দের জন্যই কেবল এ আয়োজন করা হয়।
ব্যক্তি লিপটন আর অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী লিপটন
'২০০০ সাল থেকে যখন আমি বিভিন্নভাবে অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ি, সেইসময় থেকেই নিজের পুরো জীবনটাও সেভাবেই গুছিয়ে নিয়েছি। কখনও পয়সার লোভে কোনোকিছুতে ঝুঁকে পড়িনি। অ্যাডভেঞ্চারে যেতে পারব না, সু্ইমিংয়ে যেতে পারব না, এ ধরনের কোনো কাজের সঙ্গে কোনোভাবেই নিজেকে সম্পৃক্ত করিনি। পুরো জীবনটাকেই খুব উপভোগ করি, সবসময় একইভাবে উপভোগ করতে চাই।'
আর তাই জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত যতদিন সুস্থ থাকবেন প্রত্যেকটা মুহূর্তকেই একইভাবে উপভোগ করতে চান। সেজন্য প্রত্যেকবছরই বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেবেন, এমনটিও জানালেন লিপটন।
কথার এক পর্যায়ে তিনি আরেকবার স্মরণ করেন বাংলা চ্যানেলের আবিষ্কারক কাজী হামিদুল হককে। ২০১৩ সালে মৃত্যুবরণ করা এ মানুষটিই তাকে সাগর চিনিয়েছিলেন। তার দেখানো পথ ধরেই চলছেন লিপটন।
আজকের আয়োজন
আজ সকাল ৯টা ৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার জন্য সাঁতার শুরু হয়েছে। আয়োজনের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে আছেন লিপটন সরকার।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের কক্সবাজার প্রতিনিধিকে লিপটন সরকার জানান, এবার একজন নারীসহ ৩১ জন সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন।
এবারের সাঁতারুরা হলেন: লিপটন সরকার, মো. মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরাফাত, শেখ মাহবুব উর রহমান, সাইফুল ইসলাম রাসেল, আবুল কালাম আজাদ, মাসুদ রানা, আলী রওনাক ইসলাম, আবাদুল ইসলাম, মো. জিহাদ হুসেন,সালাহ উদ্দিন, মো. কামাল হোসেন, মো. শোহেল রানা, শৌভিক বড়ুয়া, উজ্জল চৌধুরী, মো. সাকিব মাহমুদ নাইম খান, মো. বদর উদ্দিন, মো. ফারুক হোসেন, এস এম শারিয়ার মাহমুদ, মো. আবু রাশেদ, মো. গোলাম রব্বানী, আব্দুল্লাহ আল সাবিত, শোয়েব তালুকদার, এসকে রায়হান আরাফাত আকাশ, রেজিনা পারভিন, মো. তারেক হাসান, আব্দুল্লাহ আল তৌসিফ, মো. জামিল হোসেন, মো. নাসির উদ্দিন, রাশেদুল ইসলাম ও রাব্বি রহমান।