সুজাতার ‘রূপবান’ থেকে শাকিব খানের ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’: সিনেমার ‘ছবি’ এঁকে জীবন পার
বাহাত্তর বছর বয়স মানুষটার, তার মধ্যে ষাট বছর কেটে গেছে সিনেমার সঙ্গে, বাকিটাও যাবে বলেই মনে হচ্ছে। গেল ঈদুল ফিতরে তিনি শাকিব খানের লিডার: আমিই বাংলাদেশ ছবির পোস্টার ডিজাইন করেছেন, এই কোরবানির ঈদেও নকশা করেছেন প্রিয়তমা নামক একটি ছবির পোস্টার। '৬০ বছরে দাদা কম করেও তিন হাজার ছবির পোস্টার নকশা করেছেন। কাজ করা ছিল তার নেশা। টাকার দিকে চাননি, অট্টালিকা গড়েননি, শুধু কাজ করে গেছেন,' বলছিলেন বিদেশ কুমার ধরের এক সময়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট মজহারুল ইসলাম।
মজহারুলের এই দাদাটি হচ্ছেন বিদেশ কুমার ধর — চলচ্চিত্র জগতে তিনি বিকেডি নামেও খ্যাত। মজহারুল বলছিলেন, 'আশি-নব্বইয়ের দশকে যখন ১০০টি ছবি বছরে মুক্তি পেত, তখন দাদা একাই সত্তরটি ছবির পোস্টার ডিজাইন করতেন। পোস্টারের কথা উঠলে প্রযোজক-পরিচালকদের তার কথাই মনে আসত সবার আগে।' বিদেশ কুমার ধর যোগ করলেন, 'আগের দিনের প্রযোজক-পরিচালক, কলাকুশলী সবাই ছিলেন চলচ্চিত্রেরই লোক। দুদিনের জন্য ফুর্তি করতে আসতেন না কেউ। নিজের সম্মান রক্ষা করে চলতে চাইতেন প্রত্যেকে।'
বিকেডি জন্মেছিলেন ১৯৫১ সালে। তখন দেশভাগপরবর্তী ঘোর দুর্যোগ, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তুঙ্গে। শাশুড়িকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে চলেছেন এক পুত্রবধু। বেনাপোল সীমান্ত পার হয়ে একটু এগোলেই গুমা-হাবড়া নামক একটা জায়গা — সেখানকার এক ঝুপড়ি ঘরে জন্ম হলো বিদেশের। দিনকয় পরে তারা কলকাতায় বিদেশের জ্যাঠার বাড়ি গিয়ে উঠলেন।
জ্যাঠা তার নাম রেখেছিলেন বিদেশ, যেহেতু বিভুঁইয়ে তার জন্ম। বিদেশের পাঁচবছর বয়সে নয়মাস বয়সী একটা বোন রেখে মারা গেলেন মা। বাবা কিন্তু রয়ে গিয়েছিলেন ঢাকার শাখারিবাজারে, অবশ্য তার কলকাতায় যাতায়াত ছিল নিয়মিত। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি ছেলে-মেয়ের কাছে এসে পাকাপাকিভাবে রইলেন। কিন্তু তার মন পড়ে রইল জন্মভূমিতে।
শেষে বিদেশের বয়স যখন সাত, তখন ছেলে-মেয়ে এবং মাকে নিয়ে আবার ফিরলেন পিতৃভিটায়। তিনি ছিলেন শঙ্খশিল্পী। অবসরে আঁকাআঁকিও করতেন, মানুষের মুখ আঁকতে পারতেন হুবহু। বিদেশের ঠাকুর্দা ছিলেন স্বর্ণশিল্পী, তারও আঁকার হাত ছিল। সে হিসাবে বিদেশের ধারণা, বংশগতভাবেই তিনি আঁকার দক্ষতা পেয়েছেন। দেশে ফিরে বিদেশ স্কুলে যাওয়া-আসা শুরু করলেন, কিন্তু পড়াশোনায় তার মন ছিল না। ছবি আঁকতেই পছন্দ করতেন, আর রাত-দিন তাতেই মগ্ন থাকতেন। ক্যালেন্ডার দেখে দেব-দেবী আঁকতে তার বেশি ভালো লাগত।
বাবা বুঝলেন ছেলের আর পড়াশোনা হবে না, ছবি আঁকাতেই তার মনোযোগ বেশি। তাই আর্ট হাউজ নামক এক প্রতিষ্ঠানে নিয়ে গেলেন। সেটি তখন ঢাকাই সিনেমার ব্যানার তৈরি করত। আরেকটা কাজেও আর্ট হাউজ ছিল সেরা। সেটি হলো আদর্শলিপি টাইপে (বিদ্যাসাগর টাইপ নামে অধিক পরিচিত) সাইনবোর্ড লেখা। সেকালে সরকারি সব দপ্তরে ওই টাইপটাই চলত। ১৯৬০ সালে মাত্র নয়বছর বয়সে বিদেশ আর্ট হাউজে শিক্ষানবিশি শুরু করলেন।
সে আমলে সিনেমা হলে একটা ছবি চলত দুই মাস ধরে, জনপ্রিয় কোনো ছবি হলে প্রদর্শনী ছয়মাসও পেরিয়ে যেত। সিনেমা হলের বাম দেয়ালে 'আসিতেছে' লিখে আসন্ন ছবিটির দৃশ্য আঁকা হতো। এক মাস বা দেড় মাস ধরে 'আসিতেছে' বিজ্ঞাপনটি দর্শক টানত। নতুন ছবি আসার তিন দিন আগে ডান দেয়ালে পোস্টার লাগানো হতো। আর হেড ব্যানার লাগানো হতো ছবি মুক্তির আগের দিন। সবই তখন হাতে আঁকা হতো। একেকটা কাজে অনেক সময় লেগে যেত। বিকেডি তুলনা দিলেন এভাবে: এখন কম্পিউটারে যে কাজ দুই আড়াই ঘণ্টায় হয়ে, যায় তখন সেটা করতে সপ্তাহ পার হয়ে যেত।
আর্ট হাউজ ছেড়ে বছর দুই পরে বিদেশ যোগ দিলেন এসএন পাবলিসিটিতে। রথখোলায় ছিল কারখানা। তখন এমন প্রতিষ্ঠানকে কারখানা বলাই মানানসই। সেখানে চেয়ার-টেবিল থাকত দু-চারখানা আর হার্ডবোর্ডে বা টিনের পাতে চলত আঁকাআঁকি ও লেখালেখির কাজ। এসএন পাবলিসিটির আলম সাহেব ছিলেন এফডিসির ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট। তাই কাজ পেতেন যথেষ্ট। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের আগে পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে কলকাতার বাংলা ছবি, বোম্বের (এখন মুম্বাই) হিন্দি ছবি চলত। পশ্চিম পাকিস্তানের উর্দু ছবি তো ছিলই, হলিউডের ছবিও চলত অনেক। সেসঙ্গে আমাদের এখানেও ছবি একেবারে কম হচ্ছিল না। তাই কাজ ছিল বেশ, সে তুলনায় কাজের লোক ছিল কম।
এসএন পাবলিসিটি থেকে বিদেশ কিছুকাল পরে গেলেন ঝন্টুদার জুপিটার পাবলিসিটিতে। ঝন্টুদা ছিলেন সুভাষ দত্তের অ্যাসিস্ট্যান্ট আর শিল্পী নিতুন কুন্ডুর শিষ্য। ঝন্টুদাকেই বিদেশ প্রথম ওস্তাদ মানেন। '৬৫ সালে যুদ্ধের কিছু আগে ঝন্টুদা বিদেশকে দিয়ে রূপবান (১৯৬৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত, সুজাতা অভিনীত প্রথম ছবি) ছবির ব্যানার করিয়েছিলেন গুলিস্তান সিনেমা হলের জন্য। তখনো হাফপ্যান্ট পরতেন বিদেশ। তাই ঝন্টুদার উদ্যোগটাকে সাহসীই বলতে হয়। সাদা-কালো রংয়ে ১০ ফুট বাই চার ফুট ব্যানারটি তৈরি করে প্রশংসাই পেয়েছিলেন বিদেশ।
আরেকটি কাজে প্রশংসা পেয়েছিলেন বিদেশ — সেটি হলো হার্ডবোর্ডে কাট-আউট তৈরি করে। এগুলো হতো ১০ ইঞ্চি সাইজের, অনেকটা ডেস্ক ক্যালেন্ডার যেমন হয়। সাজানো থাকত হল ম্যানেজারের টেবিলে। এসব কাট-আউটে আঁকা হতো সিনেমার প্রধান পাত্র-পাত্রীর ছবি, পরে তা দাঁড় করিয়ে রাখা হতো ম্যানেজারেরর টেবিলে। ম্যানেজারের সঙ্গে যারা দেখা করতে আসতেন, তাদের কাছে 'আসিতেছে' ছবির বার্তা প্রচার করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। গুনাইবিবি ছবির নায়িকা দিলরুবার ছবি এঁকে প্রথম কাট-আউট করেছিলেন বিদেশ।
এর মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে গেলে সবাই এদিক-ওদিকে ছড়িয়ে পড়ল। বিদেশ গিয়ে জুটলেন নয়া ওস্তাদ নূর মোহাম্মদের সঙ্গে। নূর মোহাম্মদ পূর্ব পাকিস্তানে এসেছিলেন '৬৪ সালের দাঙ্গার পর। তিনি পাটনার লোক, সেখানে তিনি সিনেমা পেইন্টার ছিলেন। আরও পেলেন গিরিন দাশকে। তারা দলবেঁধে কাজ করতে গেলেন কার অ্যাডভার্টাইজিংয়ে। এটি ছিল নারিন্দায় আর মালিক ছিলেন মাদ্রাজি খাজা সাহেব। তবে কিছুদিন না যেতেই দ্বন্দ্ব বেঁধে গেলে নূর মোহাম্মদ ও গিরিন দাশের মধ্যে। উপলক্ষ্য এই বিদেশ কুমার ধর — নূর মোহাম্মদ ও গিরিন দাশ দুজনেই বিকেডিকে চিফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে চান। সমস্যা মেটেই না। শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার পড়ল স্বয়ং বিকেডির ওপরই।
বিকেডি শ্যাম আর কুল দুটোই রক্ষা করতে পেরেছিলেন — বলেছিলেন, নূর মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করব তবে গিরিনদার ডিটেইলিং আমার খুব ভালো লাগে তাই তার কাছ থেকেও শেখার সুযোগ দিতে হবে। সেরকমই চলেছিল অনেকদিন। কিছুকাল পরে নূর মোহাম্মদ ও গিরিন দাশ নিজেদের আলাদা প্রতিষ্ঠান গড়ে চলে গেলেন অন্যত্র। খাজা সাহেব বিদেশকেই চিফ আর্টিস্ট হিসাবে প্রমোশন দিলেন। বেতনও রেকর্ড পরিমাণ ১০০ টাকা বাাড়িয়ে দিলেন। সেটা ১৯৬৮ সাল। বিদেশের বেতন দাঁড়াল সাকল্যে ৩৫০ টাকা। তবে বিকেডি পূর্ণাঙ্গ আর্টিস্ট হয়ে উঠেছিলেন ১৯৬৬ সালেই। পুনম কি রাত ছবির পোস্টার তিনি এককভাবেই করেছিলেন।
বাঙালি-বিহারি দাঙ্গার পর খাজা সাহেব কারখানা বন্ধ করে দিলেন। তারপর তো মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো। বিকেডি ও তার পরিবারসহ সবমিলিয়ে ৩৯ জন ১১ দিন নৌকায় লুকিয়ে থেকে শেষে মেঘালয় গিয়ে পৌঁছেছিলেন। তারপর দেশ স্বাধীন হওয়ার এক মাস পরেই আবার ফিরে এসেছিলেন আপনভূমে।
১৯৭২ সাল থেকে বিকেডি নিজের প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। কখনো 'রূপছায়া' বা 'শতরূপা' কখনোবা 'চিত্রকর' ছিল প্রতিষ্ঠানের নাম। একইসঙ্গে পোস্টার ও ব্যানার দুয়ের কাজই করতে থাকেন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম করেছিলেন সংগ্রাম ছবির কাজ। তারপর আমজাদ হোসেনের ছবির কাজও করেছেন। করেছেন সুভাষ দত্তের ডুমুরের ফুল-এর পাবলিসিটি। এভাবে বড় কোনো উত্থান বা পতন ছাড়াই এল ১৯৮২ সাল। বিকেডি ঠিক করলেন এখন থেকে কেবল পোস্টারই করবেন, ব্যানার আর করবেন না।
যেমন কথা তেমন কাজ। বাগদাদের চোর, আনারকলি, মহুয়া সুন্দরী, আয়না বিবির পালা, নয়নমণি ইত্যাদি ছবির একের পর এক পোস্টার করে গিয়েছেন। ভালো ছবি-মন্দ ছবির হিসাব করতে বসেননি কখনো। তিনি চাইতেন, তার করা পোস্টার যেন হলে দর্শক টেনে আনে। শাবানাকে, ববিতাকে বা সুচরিতাকে আরও কত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায় সেদিকেই নজর দিতেন তিনি। চেষ্টা করতেন ছবির নাটকীয়তা পোস্টারে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে। বিদেশ কুমার ধর বলছিলেন, 'আমি বারবার নিজেকে অতিক্রম করতে চাইতাম। নিজের সঙ্গেই ছিল আমার নিজের প্রতিযোগিতা। নতুন কাজে আমি নিজেকে নতুনভাবে মেলে ধরতে চাইতাম।'
যার যেমন বৈশিষ্ট্য, তেমনভাবেই তাকে ধরতে চাইতেন বিকেডি। যেমন সুচরিতাকে দর্শক চঞ্চল, উচ্ছল দেখতে পছন্দ করতেন। আবার শাবানাকে মমতাময়ী, ববিতাকে ড্যাশিং, রাজ্জাককে দুষ্টু-মিষ্টি — বিকেডিও সেভাবেই উপস্থাপনের দিকে নজর দিতেন। তিনি অ্যাকশন ছবির পোস্টার করতেন লম্বালম্বি যেখানে নায়ক-নায়িকা থাকত দাঁড়ানো। আবার রোমান্টিক ছবির পোস্টার করতেন অনুভূমিক যেখানে নায়ক-নায়িকাকে বসে বসে গল্প করতে দেখা যেত। বিকেডি আলিবাবা (১৯৬৭), আলো তুমি আলেয়া (১৯৭৫), মনিহার (১৯৭৬), আলিফ লায়লা (১৯৮০), লাইলী মজনু (১৯৮৩), আওয়ারা (১৯৮৫), বাল্যশিক্ষা (১৯৮৬), দাঙ্গা (১৯৯২)-সহ অনেক চলচ্চিত্রের পোস্টার এঁকেছেন।
এসব প্রয়োজন মেটাতে তিনি পরিচালক বা প্রযোজককে নতুন করে স্টিলছবি তোলাতে বলতেন। সে নিয়ে ঝক্কি কম হতো না, বিশেষ করে নায়ক-নায়িকারা সময় দিতে চাইতেন না। কিন্তু সকলেই জানতেন বিকেডি যা চাইছেন তাতে আখেরে ফল ভালোই হবে। তাই তাকে নিরাশ হতে হয়নি কখনো। এখানে বলে রাখা দরকার, স্টিল ক্যামেরার ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরু হওয়ার পর কিন্তু হাতে আঁকা পোস্টারের সঙ্গে রিটাচ পোস্টারও (স্টিলছবির পটভূমিতে দৃশ্যাবলি সংযোজন) তৈরি হতে থাকল।
বিকেডি'র করা পোস্টার প্রতীকধর্মীও হতো। একটি উদাহরণ যেমন তিনি দিলেন: একজন ভিলেন সোফায় পায়ের ওপর পা তুলে বসে ধুমপান করছে, সিগারেটের ছাই সে ফেলছে এক নারীর বাড়ানো হাতের ওপর। এর অর্থ দাঁড়ালো নারীটিকে ভিলেন ব্যবহার করছে অ্যাশট্রে হিসেবে। এক্ষেত্রে কিন্তু নির্যাতন, নিপীড়ন বা বিভৎসতা না দেখিয়েই বক্তব্যটি বলে ফেলা গেল।
বিদেশ কুমার ধর ২০০০ সাল পর্যন্ত টানা কাজ করেছেন। তারপরও কাজ করেছেন তবে আগের মতো উদ্যম নিয়ে নয়। কারণ ততদিনে এফডিসির পরিবেশ অনেক বদলে গিয়েছিল। এমন অনেক পরিচালক, প্রযোজক, কলাকুশলী চলচ্চিত্রে যুক্ত হয়েছিলেন যারা চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে দেখেননি বরং আমোদপ্রমোদ আর ব্যবসার উপায় হিসাবে দেখেছিলেন। শেষে অবশ্য জাজ মাল্টিমিডিয়ার হয়ে ধারাবাহিক কাজ করেছিলেন বিকেডি।
নিজের অফিস ছিল ২০২১ সাল পর্যন্তই। কিন্তু করোনা মহামারিতে বসে থেকে শুধু অফিস ভাড়াই গুনেছেন, কোনো কাজ হয়নি, শেষে বন্ধ না করে দিয়ে উপায় ছিল না। এখন বিকেডি বিকেলবেলা এসে বসেন মজহারুল ইসলামের অফিসে। ডিজিটাল মাধ্যমে পোস্টার হয় এখন — তিনি কনসেপ্ট তৈরি করে দেন, যথাযথভাবে উপস্থাপনের নির্দেশনাও দেন। দিন যতই বদল হোক সিনেমার বাইরে থাকতে পারেন না বিকেডি। শৈশব থেকেই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত, এছাড়া অন্য কিছুতে মন বসেনি, আনন্দও পান না। তাই এই পড়ন্ত বেলাতেও সিনেমা আঁকড়েই দিন কাটাচ্ছেন বিদেশ কুমার ধর।