অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অভিযোগে বাংলাদেশি পুলিশ ইন্সপেক্টরকে আটক করেছে বিএসএফ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও বিতর্কিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরঞ্জের পৃষ্ঠপোষক শেখ সোহেল রানাকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আটক করেছে।
ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে শুক্রবার তাকে কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএসএফ শনিবার বিকেলে এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছে, "নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন পরিদর্শক অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের সময় #১৪৮বিএন এর সতর্ক সেনারা তাকে গ্রেপ্তার করে।"
তার কাছ থেকে বিদেশি পাসপোর্ট, মোবাইল ফোন ও এটিএম কার্ড জব্দ করেছে বিএসএফ।
পরে বিএসএফ তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শেষে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মেখলিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।
ভারতের গোপালগঞ্জ জেলার শেখ সোহেল রানা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন বলে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
তবে প্রাথমিক তদন্তে বিএসএফ কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন বাংলাদেশে সোহেল রানার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত এলাকায় ডিএমপির পরিদর্শকের আটকের ব্যাপারে অবগত আছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, "আমরা এখনও যাচাই করতে পারিনি তিনি আসলেই ডিএমপির কর্মকর্তা কিনা, আমরা ইতোমধ্যেই পুলিশ সদর দপ্তরকে জানিয়েছি।"
এদিকে, পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারি মহাপরিদর্শক (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) মীর সোহেল রানাকে এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভারতে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
ডিএমপির গুলশান ডিবিশনের ডেপুটি কমিশনার মো আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, সোহেল রানা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডিউটিতে ছিলেন। তবে সোহেল রানা এখন কোথায় তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
বনানী থানার অফিসার ইন চার্জ নূরে আজম মিনা টিবিএসকে জানান, সোহেল রানা কয়েকদিনের ছুটিতে ছিলেন ও সম্প্রতিই ডিউটিতে যোগদান করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ডিউটিতে ছিলেন, এটিই বনানী থানায় তার শেষ উপস্থিতি ছিল বলে জানান তিনি।