অভিবাসীদের সুরক্ষায় কাজ করছে সরকার: প্রতিমন্ত্রী
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সরকার বাংলাদেশি অভিবাসীদের সুরক্ষায় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
শুক্রবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে জর্ডানের বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত 'বেটারিং লেবার মবিলিটি ফর বেটারিং ইন্টারকানেক্টিং ইকোনমি' শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কোনো দেশের পক্ষে অভিবাসন নিয়ে একা কাজ করা সম্ভব নয় বলেও এ সময়ে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অভিবাসন পরিচালনার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দায়িত্ব ভাগাভাগি এবং পারস্পরিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শাহরিয়ার আলম বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার অভিবাসনের জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর মাইগ্রেশন (জিসিএম) বাস্তবায়নে কার্যকর কাঠামো প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।'
জাতিসংঘ ও নাগরিক সমাজ বাংলাদেশের গৃহীত কর্মসূচী বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান আয়োজিত এ ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এবং জর্দানের শ্রম সচিব ফারুক আল-হাদিদি।
স্বাগত বক্তব্যে নাহিদা সোবহান বলেন, 'শ্রমিক অভিবাসন অভিবাসীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি তাদের নিজেদের দেশ এবং তারা যে দেশে অভিবাসন করেছেন- উভয়ের অর্থনৈতিক মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।'
অভিবাসী শ্রমিকদের জীবনের সুরক্ষা ও জীবনমান নিশ্চিত করার মাধ্যমেই দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
'জর্ডান সবসময়ই অভিবাসীদেরকে জর্ডানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে,' বলেন ফারুক আল-হাদিদি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়া) আফম বোরহান উদ্দিন, জর্ডানে অভিবাসীদের জন্য জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সংস্থার (আইওএম) মিশন প্রধান তাজমা কুর্ট, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক শ্রম অভিবাসন বিশেষজ্ঞ শাবারিনাথ নায়ার এবং জর্ডানের আন্তর্জাতিক সংস্থার (এমইডিএ) কান্ট্রি ডিরেক্টর আহসান উল হক হেলাল এই ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেন।