আগামীকাল থেকে রাজশাহী ‘লকডাউন’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগামীকাল সকাল থেকে 'লকডাউন' জারি করা হয়েছে রাজশাহীতে।
বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনার বিস্তার রোধে এক জরুরি বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাজশাহীতে কাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জেলায় সব ধরনের দোকানপাট, বিপণীবিতান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মানুষের চলাফেরা বন্ধ থাকবে। আইডি কার্ড ব্যতিত ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবে না।
তিনি বলেন, কঠোর নিষেধাজ্ঞায় সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদন স্পট ও সব ধরনের গণজমায়েত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতাল, ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ জরুরি পরিষেবা এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। এ ছাড়া আম ব্যবসা ও পরিবহনসহ সব ধরনের কৃষি পণ্য নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। আন্ত:জেলা বাস ও দূরপাল্লার বাসসহ গণপরিবহন কঠোর নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। তবে জেলাজুড়ে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কাজ করবে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ টিম ও পুলিশবাহিনী।
রামেক হাসপাতালে আরও সাতজনের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে বাংলাদেশে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জন ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড ও আইসিইউতে তারা মারা যান বলে জানান রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যে সাতজন মারা গেছে তাদের মধ্যে পাঁচজনই করোনা পজিটিভ। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে দুইজন। মৃতদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনজন ও রাজশাহীর তিনজন, নাটোরের একজন। এ নিয়ে গত আট দিনে রামেক হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে মোট ৬৮ জন। যার মধ্যে ৩৭ জন করোনা শনাক্ত রোগী।
হাসপাতাল পরিচালক শামীম ইয়াজদানী আরো জানান, বুধবার পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও আইসিইউতে ২২০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে করোনা ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১৭ জন।
তিনি জানান, ২৪ ঘন্টায় করোনা ইউনিটে ২১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯ জন, রাজশাহীর ৯ জন ও নাটোর, জয়পুরহাট ও পাবনার একজন করে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১১ জন।