আগামী সপ্তাহ থেকে চট্টগ্রামে চালু হচ্ছে ওয়াটারবাস সার্ভিস
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের যাত্রীদের জন্য কর্ণফুলী নদীতে আগামী সপ্তাহ থেকে চালু হচ্ছে ওয়াটার বাস সার্ভিস।
ইতোমধ্যে উদ্বোধনের সমস্ত প্রস্তুতি শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম নগরের অন্যান্য স্থান থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর যাতায়াতে লোকজনকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর ও কিছু বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোর মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যানের কারণে ওই রুটে নিত্য যানজট লেগে থাকে। যানজটে পড়লে শহরের যেসব এলাকা থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছতে দেড়-দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়, সেসব এলাকা থেকে একই স্থানে যেতে ওয়াটার বাসে লাগবে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট।
ওয়াটার বাসে ওয়ান-ওয়ে ট্রিপের জন্য যাত্রীদের গুনতে হবে ৪০০ টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সেক্রেটারি মো: ওমর ফারুক জানান, “চট্টগ্রামে সদরঘাট থেকে পতেঙ্গা শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীতে ওয়াটার বাস সেবা চালু হবে। সকাল ৬ টা ৫৫ থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত মোট ১১ টি ট্রিপ চলবে।“
তিনি আরও বলেন, পতেঙ্গা টার্মিনালে পৌঁছানোর পর যাত্রীদের শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়া হবে।
এস এস ট্রেডিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: শাব্বাব হোসাইন বলেন, ২৮ নভেম্বর থেকে ওয়াটার বাস সার্ভিস চালু হতে পারে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ওয়াটারবাসে থাকছে ওয়াই ফাই সুবিধা, একবারে ৩০ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। ৩ ফিট উচ্চতায়, লম্বায় ৩৭ ফিট এবং প্রস্থে ১১ ফিট।
সদরঘাট প্রান্তে ওয়াটার বাস সেবার জেটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কর্ণফুলীর পাড়ে ২১৩ ফুট দীর্ঘ জেটির সঙ্গে স্থাপিত হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার বর্গফুটের পন্টুন। ওয়াটার বাসের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে পন্টুনের সামনে নদীতে বন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে চলছে খননকাজ।
জেটির কাছেই স্থাপন করা হয়েছে দ্বিতলবিশিষ্ট শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুদৃশ্য টার্মিনাল ভবন। সেখানে রয়েছে যাত্রীদের জন্য টিকেট কাউন্টার, বিশ্রামাগার ও রেস্টুরেন্ট। টার্মিনাল ভবনের সামনে রয়েছে পার্কিং স্পেস।