ইভ্যালির কাছে গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের পাওনা ১,০০০ কোটি টাকারও বেশি: র্যাব
বিতর্কিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেপ্তারের পর র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহক ও সাপ্লাইয়ারদের ১,০০০ কোটি টাকারও বেশি পাওনা।
রাসেল অবশ্য কয়েকদিন আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিলেন, গ্রাহক ও সাপ্লাইয়ারদের কাছে তার প্রতিষ্ঠানের ঋণ ৫৪৩ কোটি টাকা।
র্যাব মুখপাত্র এক সংবাদ সম্মেলনে আজ (শুক্রবার) জানান, সম্প্রতি গ্রাহকদের টাকা ফেরত এবং ভেন্ডারদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য মোহাম্মদ রাসেল সময় বাড়ানোর যে আবেদন করেছিলেন, সেটি ছিল স্রেফ কালক্ষেপনের একটি কৌশল। পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনা ছিল তার।
নিজের কোম্পানি তিন বছর পরিচালনার পর শেয়ার মার্কেটে আসার পরিকল্পনাও ছিল রাসেলের।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে আটক করে র্যাব। গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য ডেলিভারি না দেওয়াসহ নানা অভিযোগে গত কয়েক মাস ধরে সরকারি সংস্থাগুলোর তদন্তের মুখে রয়েছে বিতর্কিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালি। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের র্যাব হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও সিইও মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন একজন গ্রাহক।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব মুখপাত্র বলেন, 'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ইভ্যালির কারসাজির মূলহোতা গ্রেপ্তারকৃত মোহাম্মদ রাসেল, যিনি প্রতিষ্ঠানটির সিইও এবং তার স্ত্রী গ্রেপ্তারকৃত শামীমা নাসরিন (চেয়ারম্যান) তার অন্যতম সহযোগী। গ্রেপ্তারকৃত মোহাম্মদ রাসেল ২০০৭ সালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় হতে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন এবং পরবর্তীকালে তিনি ২০১৩ সালে এমবিএ সম্পন্ন করেছেন বলে জানান। তিনি ২০০৯ সাল হতে ২০১১ সাল পর্যন্ত একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন। ২০১১ সালে তিনি ব্যাংকিং সেক্টরে চাকরি শুরু করেন। তিনি প্রায় ৬ বছর ব্যাংকে চাকরি করেন। তিনি ২০১৭ সালে ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। তিনি প্রায় এক বছর শিশুদের ব্যবহার্য একটি আইটেম নিয়ে ব্যবসা করেন এবং অতঃপর তিনি উক্ত ব্যবসা বিক্রি করে দেন। ২০১৮ সালে পূর্বের ব্যবসালব্ধ অর্জিত অর্থ দিয়ে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ইভ্যালি কার্যক্রম শুরু হয়। কোম্পানিতে তিনি সিইও এবং তার স্ত্রী চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হন।'
'ইভ্যালির ব্যবসায়িক অবকাঠামো সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভাড়াকৃত স্পেসে ধানমন্ডিতে প্রধান কার্যালয় এবং কাস্টমার কেয়ার স্থাপিত হয়। একইভাবে ভাড়াকৃত স্পেসে আমিন বাজার ও সাভারে দুটি ওয়ার হাউজ চালু করা হয়। কোম্পানিতে এক পর্যায়ে প্রায় ২০০০ ব্যবস্থাপনা স্টাফ ও ১৭০০ অস্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ ছিল, যা ব্যবসায়িক অবনতিতে বর্তমানে যথাক্রমে স্টাফ ১৩০০ জনে এবং অস্থায়ী পদে প্রায় ৫০০ জন কর্মচারীতে এসে দাঁড়িয়েছে। কর্মচারীদের এক পর্যায়ে মোট মাসিক বেতন বাবদ দেওয়া হতো প্রায় ৫ কোটি টাকা; যা বর্তমানে ১.৫ কোটিতে দাঁড়িয়েছে বলে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান। গত জুন থেকে অনেকের বেতন বকেয়া রয়েছে। তিনি (রাসেল) ও তার স্ত্রী পদাধিকারবলে নিজেরা মাসিক ৫ লক্ষ টাকা করে বেতন নিয়ে থাকেন। তারা কোম্পানির অর্থে ব্যক্তিগত ২টি দামি গাড়ি (রেঞ্চ রোভার ও অডি) ব্যবহার করেন। এছাড়া কোম্পানির প্রায় ২৫-৩০টি যানবাহন রয়েছে,' জানান র্যাব মুখপাত্র।
তিনি আরও বলেন, 'ব্যক্তি পর্যায়ে সাভারে গ্রেপ্তারকৃত রাসেলের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জায়গা-জমিসহ অন্যান্য সম্পদ রয়েছে বলে তিনি জানান। গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, ইভ্যালির বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বর্তমানে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি গেটওয়েতে ৩০-৩৫ কোটি গ্রাহকের টাকা আটক হয়ে আছে বলে গ্রেপ্তারকৃতরা উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ উক্ত অর্থ কোম্পানির নয়।'
আরও পড়ুন: অবশেষে আটক ইভ্যালির সিইও রাসেল ও তার স্ত্রী
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃতদের কোম্পানির দায় ও দেনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেনা দাঁড়ায় ৪০৩ কোটি টাকা; চলতি সম্পদ ছিল ৬৫ কোটি টাকা, বিভিন্ন পণ্য বাবদ গ্রাহকদের নিকট থেকে অগ্রিম নেওয়া ২১৪ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন গ্রাহক ও কোম্পানির কাছে বকেয়া প্রায় ১৯০ কোটি টাকা। বিভিন্ন সংস্থার সূত্রে প্রকাশিত বিপুল পরিমাণ দায়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তারকৃতরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির আরও দায়-দেনা রয়েছে। সর্বমোট পরিমাণ ১,০০০ কোটি টাকার বেশি বলে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে লোকসানি কোম্পানি; কোনো ব্যবসায়িক লাভ করতে পারেনি। গ্রাহকের অর্থ দিয়েই যাবতীয় ব্যয় ও খরচ নির্বাহ করা হতো। ফলে দেনা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।'
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব মুখপাত্র আরও বলেন, 'জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মোহাম্মদ রাসেল আরও জানান, ইভ্যালি ছাড়াও তার আরও কয়েকটি ব্যবসায়িক প্লাটফর্ম রয়েছে। তারমধ্যে ই-ফুড, ই-খাতা, ই-বাজার ইত্যাদি। ইভ্যালির ব্যবসায়িক কাঠামো শুরু হয়েছিল যৎসামান্য নিজস্ব ইনভেস্টমেন্ট দিয়ে। তার ব্যবসায়িক স্টাটিজি ছিল তৈরিকারক ও গ্রাহক চেইন বা নেটওয়ার্ক থেকে বিপুল অর্থ তুলে নেওয়া। তিনি বিশাল অফার, ছাড়ের ছড়াছড়ি আর ক্যাশব্যাকের অফার দিয়ে সাধারণ জনগণকে প্রলুব্ধ করতেন। যাহাতে দ্রুততম সময়ে ক্রেতা বৃদ্ধি সম্ভবপর হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ইভ্যালির গ্রাহক সংখ্যা ৪৪ লাখের ও অধিক। তিনি বিভিন্ন লোভনীয় অফারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে এত সংখ্যক গ্রাহক সৃষ্টি করেছেন। ইভ্যালির বিভিন্ন লোভনীয় অফারগুলো হলো: সাইক্লোন অফার (বাজার মূল্যের অর্ধেক মূল্যে পণ্য বিক্রয়); ক্যাশব্যাক অফার (মূল্যের ৫০-১৫০% ক্যাশব্যাক অফার); আর্থকুয়েক অফার, প্রায়োরিটি স্টোর, ক্যাশ অন ডেলিভারি। এছাড়া বিভিন্ন উৎসবেও ছিল জমজমাট অফার; যেমন- বৈশাখী, ঈদ অফার ইত্যাদি। তাছাড়া আরও রয়েছে টি-১০, ৫ ও ৩ অফার। এভাবে বিভিন্ন অফারে প্রলুব্ধ হন সাধারণ জনগণ।'
আরও পড়ুন: ইভ্যালি: পঞ্জি স্কিমের অগ্রদূতের উত্থান ও পতন
'ব্যবসায়িক বিক্রি বাড়াতে গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত চাহিদা তৈরি হয় এ ধরনের পণ্যকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। যেমন- মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ, এসি, মোটরবাইক, গাড়ি, গৃহস্থলীপণ্য, প্রসাধনী, প্যাকেজ ট্যুর, হোটেল বুকিং, জুয়েলারি, স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী ও ফার্নিচার ইত্যাদি। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, এহেন পণ্যের মূল্য ছাড়ের ফলে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানের বিশাল আকারে দায় তৈরি হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, ব্যবসায়িক অপকৌশল ছিল নতুন গ্রাহকের উপর দায় চাপিয়ে দিয়ে পুরাতন গ্রাহক ও সরবরাহকারীর দায়ের আংশিক-আংশিক করে পরিশোধ করা। অর্থাৎ দায় ট্রান্সফারের মাধ্যমে দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছিল ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির নেওয়ার্কে যত গ্রাহক তৈরি হত, দায় তত বৃদ্ধি পেত। গ্রেপ্তারকৃত রাসেল জেনেশুনে এই নেতিবাচক স্টাটিজি গ্রহণ করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন,' উল্লেখ করেন র্যাব মুখপাত্র।
তিনি বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃত মোহাম্মদ রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, একটি বিদেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের লোভনীয় অফারের (১:২) আলোকে ইভ্যালির ব্যবসায়িক স্টাটিজি তৈরি করেছেন। ব্যবসায়িক ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান যে, প্রথমত একটি ব্রান্ড ভ্যালু তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। অতঃপর দায়সহ কোনো প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোম্পানির নিকট বিক্রি করে লভ্যাংশ নিয়ে নেওয়া। এ উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন দেশও ভ্রমণ করেছেন। অন্যান্য পরিকল্পনা সমূহের মধ্যে ছিল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির নিকট কোম্পানি শেয়ারের অফার দিয়ে প্রলুব্ধ করে দায় চাপিয়ে দেওয়া। এছাড়া তিন বছর পূর্ণ হলে শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত হয়ে দায় চাপানোর পরিকল্পনা নেন। তিনি (রাসেল) জানান যে, দায় মেটাতে বিভিন্ন অজুহাতে সময় বৃদ্ধি করার আবেদন একটি অপকৌশল মাত্র। সর্বশেষ তিনি দায় মেটাতে ব্যর্থ হলে দেওলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা করেছিলেন।'
আরও পড়ুন: ইভ্যালি পর্ব: যে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ধন্যবাদ প্রাপ্য
'জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ইভ্যালির অন্যতম কর্ণধার গ্রেপ্তারকৃত মোহাম্মদ রাসেল ও তার পত্নী। ইভ্যালি পরিকল্পিতভাবে একটি পরিবার নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায়িক গঠনতন্ত্র। একক সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বেচ্ছাচারিতা করার অবকাশ রয়েছে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি রয়েছে। ফলে ক্রমান্বয়ে প্রতিষ্ঠানের দায় বৃদ্ধি হতে হতে বর্তমানে প্রায় অচলাবস্তায় উপনীত হয়েছে। এই অচলাবস্তা হতে উত্তরণে দিশেহারা গ্রেপ্তারকৃতরা। বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট দায়; গ্রাহকদের নিকট দায় নিয়ে বিচলিত প্রতিষ্ঠানটি। ইভ্যালির নেতিবাচক ব্যবসায়িক স্ট্যাটিজি উন্মোচিত হওয়ায় অনেক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও অর্থ ট্রানসিশন গেটওয়ে ইভ্যালি থেকে সরে এসেছে। ব্যবসায়িক উত্তরণ নিয়ে সন্ধিহান গ্রেপ্তারকৃতরা। এখন পর্যন্ত উত্তরণের কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে সক্ষম হননি গ্রেপ্তারকৃতারা,' সংবাদ সম্মেলনে যোগ করেন র্যাব কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে র্যাব।
বলে রাখা ভালো, গত ১৪ সেপ্টেম্বর আইনভঙ্গের কারণে ইভ্যালির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান সেদিন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইভ্যালি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ভোক্তা অধিকার আইন ও দণ্ডবিধি আইন লঙ্ঘন করেছে।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দুটি ভিন্ন প্রতিবেদনে ইভ্যালি জানায়, তাদের কাছে গ্রাহকদের পাওনার পরিমাণ ৩১১ কোটি টাকা এবং মার্চেন্টদের পাওনার পরিমাণ ২০৬ কোটি টাকা।
এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইভ্যালি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নথি চেয়ে বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিপুল ডিসকাউন্টের লোভ দেখিয়ে ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারির প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিলেও তাদের পণ্য সরবরাহ করেনি ইভ্যালি। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করা অনেক গ্রাহক এখনো পণ্য পাননি। ইভ্যালি যেসব গ্রাহকদের রিফান্ড চেক দিয়েছে, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় সেগুলোও বাউন্স হচ্ছে।
এছাড়াও জালিয়াতি বা আত্মসাতের তদন্ত চলমান থাকায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং তার স্বামী ও কোম্পানির সিইও মোহাম্মদ রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।