কক্সবাজারের এসপির পর এবার ৭ কর্মকর্তা একযোগে বদলি
সিনহা হত্যার পর নানা সমালোচনার মধ্যে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেনকে সম্প্রতি রাজশাহী বদলির পর এবার জেলার সাত শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বদলির আদেশ পাওয়া কর্মকর্তাদের কক্সবাজার অবস্থানের মেয়াদ দুই থেকে তিন বছর এবং ক্ষেত্র বিশেষে আরও বেশি হওয়ায় তাদের নিয়মিত বদলি হিসেবে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনকে ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদিবুল ইসলামকে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কক্সবাজার সদরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদকে গাজীপুর জিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, মহেশখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রতন কুমার দাশ গুপ্তকে চট্টগ্রাম ৯ম এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এ ছাড়া কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল চন্দ্র বণিককে চট্টগ্রাম আরআরএফ'র সহকারী পুলিশ সুপার, চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজি মো. মতিউল ইসলামকে নোয়াখালীর সহকারী পুলিশ সুপার ও ডিএসবির সহকারী পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলামকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) এর সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসবে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) এ বি এম মাসুদ হোসেনকে বদলি করে রাজশাহীর পুলিশ সুপার করা হয়। আর ঝিনাইদহের এসপি মো. হাসানুজ্জামানকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই টেকনাফের মেরিন ড্রাইভে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় সমালোচিত হন পুলিশ সুপার। সিনহা নিহতের পর এসপির সঙ্গে জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার কথোপকথন ফাঁস হয়। যা গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হয়।
গত ১০ সেপ্টেম্বর নিহত সিনহার বোন এসপি মাসুদকে আসামি করতে আদালতে একটি আবেদন করেন। তবে আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
সিনহা হত্যায় টেকনাফের বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ পুলিশের সাত সদস্য কারাগারে রয়েছেন। দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করা এই ঘটনায় জেলা পুলিশের ভাবমূর্তি অনেকাংশে ক্ষুণ্ন হয়। এরই মাঝে এসপিসহ ৮ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বদলী করা হয়েছে।