করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু করল বাংলাদেশ
করোনাভাইরাসের প্রতিরোধে সারাদেশে টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বিকেলে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন রেডি হওয়ার পর বেক্সিমকো যখন আমাকে জিজ্ঞেস করলো, তখন আমি বললাম যতো দ্রুত পারা যায় কিনে ফেলো। এই জন্য আমরা সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করেছি।"
তিনি বলেন, "করোনা যখন শুরু হয় তখন এমন একটা আতঙ্ক দেখা দেয় যে বাবা-মার লাশও অনেকেই দাফন করতে এগিয়ে যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের নানা প্রতিষ্ঠান এবং আমাদের দলের কর্মীরা এগিয়ে গেছে। আজকের দিনে আমি সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।"
তিনি বলেন, "যারা এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে আমি তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের কাছে সমবেদনা জানাচ্ছি।"
প্রথম দিনের এ কর্মসূচিতে ৩০ জন সম্মুখযোদ্ধাকে এ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমাবারের মতো করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরোনিকা কস্তা।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে টিকা নিয়েছেন হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, মতিঝিল বিভাগের ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. দিদারুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিন কোটি ৪০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। এরপর এগুলো সময়মতোই আসতে থাকবে। কোনো সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, এটা ঐতিহাসিক দিন। কেননা, অনেক দেশ এখনো ভ্যাকসিন পায়নি। সেখানে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা সত্বেও বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আমদানি করেছে সরকার।
সারাদেশে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে একযোগে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।