দেখুন: '৪০০ কোটি টাকার পিয়ন' কেতলি জাহাঙ্গীরের নজরকাড়া দুই বাড়ি
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ব্যক্তিগত কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম। ব্যক্তিগত কর্মচারী হিসেবে কাজ করলেও নিজেকে সব জায়গায় পরিচয় দিতেন 'ব্যক্তিগত বিশেষ সহকারীর' হিসেবে। এ পরিচয়ে সচিবালয়সহ সরকারী দপ্তরে চালাতেন তদবির বাণিজ্য। এসব করে কামিয়েছেন হাজার কোটি টাকা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ এলাকায় গড়ে তুলেছেন রাজনৈতিক বলয়।
সবশেষ রোববার (১৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে করা এক মন্তব্যের পরে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় জাহাঙ্গীরের ক্ষমতার মসনদ। জানা গেছে, ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন বন্ধ করে বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি।
এদিকে, সরেজমিনে নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড হরিনারায়ণপুরে গিয়ে দেখা যায়, মাইজদী প্রধান সড়ক থেকে স্টেশন সড়কে যেতে হাতের ডান পাশে তার নজরকাড়া আটতলা ভবন। ১ নং রোডের ১১০ নং 'যারিয়াত ভিলা'। এই ভবনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম। ভবনে ঢুকতেই বেজমেন্টে চোখে পড়ে সুবিশাল পার্কিং। অত্যাধুনিক লিফট আর স্বয়ংক্রিয় জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে বাসাটিতে। ফ্লোরের টাইলস থেকে শুরু করে দরজা-জানালা সবকিছুই উন্নতমানের। স্যানিটেশন ও প্লাম্বিং এ ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জাম।
এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় বাসার কেয়ারটেকার মো. আমিনুল ইসলামের। আমিনুল জানান, ৮ তলার বাসাটিতে ১৯টি ফ্ল্যাট রয়েছে। নিচতলা পুরোটা পার্কিং এর কাজে ব্যবহৃত হয়। ১৯ ফ্ল্যাটের মধ্যে ১৮টি বিভিন্ন জনের কাছে ভাড়া দেওয়া। তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট নিজের থাকার জন্য রেখেছেন জাহাঙ্গীর। সেখানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাঝে মধ্যে থাকতেন। সবশেষ গত আড়াই মাস আগে এ বাসায় এসেছিলেন তিনি। গত ছয় বছর যাবত বাসা ভাড়া ও দেখাশোনার কাজ কেয়ারটেকার আমিনুলকে একাই করতে হয়। বাসা ভাড়া বাবদ ১৮ জন ভাড়াটিয়া থেকে প্রতি মাসে প্রায় দুই লাখ টাকা পান। জাহাঙ্গীর আলমের এক নিকটাত্মীয় এসে সেই টাকা নিয়ে যান বলেও জানান আমিনুল।