করোনায় অসহায়দের পাশে পিএইচপি পরিবার
দেশব্যাপী করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বাড়ছে লকডাউন ও সাধারণ ছুটি। ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষদের। বৃহত্তর চট্টগ্রামের এসব মানুষদের ত্রাণ দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন চট্টগ্রাম অন্যতম শিল্পগ্রুপ পিএইচপি পরিবার। গত ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এ ত্রাণ বিতরণ। প্রায় ১০ হাজারের অধিক পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয় এ ত্রাণ।
তাছাড়াও পিএইচপি পরিবারের চেয়ারম্যান সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমান এ দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।
পাশাপাশি সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবার একুশে পদক পেয়েছেন। একুশে পদকের সঙ্গে প্রাপ্ত অর্থ ইতোমধ্যে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালকের হাতে হস্তান্তর করছেন। এছাড়াও চমেক হাসপাতালের ডাক্তারদের নিরাপত্তার জন্য দেওয়া হয়েছে ৫০০ পিপিই।
নগরীর সাগরিকায় অবস্থিত প্রোটন গাড়ির কারখানায় করা হয় ত্রাণের প্যাকেজিংয়ের কাজ। প্রকৌশলী থেকে শুরু করে গাড়ি উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও কর্মীরা সহায়তা করেছেন এ কাজে। আর কারখানায় সার্বক্ষণিক অবস্থান করে প্যাকেজিং কাজের তদারকি করছেন পিএইচপি অটোমোবাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখতার পারভেজ। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, লবণ, ভোজ্য তেল ও আলু।
এ প্রসঙ্গে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাসের মতো মহামারি প্রতিরোধে সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠা যাবে এ দুর্যোগ। দল-মত নির্বিশেষে অসহায় মানুষের পাশে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
আখতার পারভেজ বলেন, যে কোন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে অসহায়দের পাশে থাকে পিএইচপি পরিবার। এ ধারাবাহিকতায় করোনার সংক্রমণের কারণে ভোগান্তিতে পড়া খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছি আমরা। ফলে বন্ধ গাড়ির কারখানাকে বানিয়েছি খাবারের গুদাম। এখানে থেকেই বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিদের সাথে সমন্বয় করে দেওয়া হয়েছে এ ত্রাণ। ১০ হাজার পরিবারকে দেওয়া হয়েছে এ ত্রাণ। ভবিষ্যতেও এ ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
একই প্রসঙ্গে পিএইচপি পরিবারের মুখপাত্র দিলশাদ আহমেদ বলেন, ত্রাণ বিতরণ ছাড়াও চেয়ারম্যান মহোদয় সব সময় অসহায়দের নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকেন। সুফি মিজানুর রহমান ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিনিয়ত অসহায়দের নিয়মিত সাহায্য সহায়তা দেওয়া হয়।