করোনা: ঠাকুরগাঁও সীমান্ত সিল, সংক্রমণ বেড়েছে
ঠাকুরগাঁও জেলায় কয়েকদিন থেকে করোনা শনাক্ত বাড়ছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী উপজেলা বালিয়াডাঙ্গীতে সবচেয়ে বেশি। তবে করোনা মোকাবিলায় ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে সমস্যায় পড়বে স্বাস্থ্য বিভাগ।
ইতোমধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের হাসপাতালের করোনা ইউনিট ঢেলে সাজালেও এখানে নেই আইসিইউ ব্যবস্থা। এই ইউনিটে ভেন্টিলেটর থাকলেও দক্ষ জনবল নেই। ফলে করোনা ইউনিট অবহেলায় পড়ে রয়েছে। অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন হলেও পাঁচ মাসেও তা চালু হয়নি। এদিকে করোনার ভারতীয় ধরন ঠেকাতে জেলার সীমান্ত সিলড করা হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
জেলায় গত কয়েকদিনের সংক্রমণ পর্যালোচনায়, গত ২৮ মে কোনো রোগী করোনা শনাক্ত হয়নি। ২৯ মে তিনজন, ৩০ মে সাতজন (বালিয়াডাঙ্গীতে পাঁচজন), ৩১ মে আটজন (বালিয়াডাঙ্গীতে ছয়জন), ১ জুন বালিয়াডাঙ্গীতে একজন ও ২ জুন তারিখে এক লাফে ১৭ জনের (বালিয়াডাঙ্গীতে ৪ জন) করোনা শনাক্ত হয়েছে।
যদিও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে এখনো রোগীদের মধ্যে ভারতীয় ধরন পাওয়া যায়নি। তবু শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
বিজিবির ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাকসুদ জানান, সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি। টহল আগের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন ঠেকাতে সীমান্ত সিল করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সদর হাসপাতালে মাল্টি সিলিন্ডার সিস্টেম আছে। পাঁচ মাস আগে ঘটা করে লিকুইড (তরল) অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। তবে আজো এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে জুন মাসের মধ্যে এটি চালু হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ওষুধ হাসপাতাল থেকেই সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু রেমডিসিভির ইনজেকশন রোগীদের কিনতে হচ্ছে ।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ চপল জানান, হাসপাতালে এই মুহূর্তে আইসিইউ থাকাটা অপরিহার্য। সদর হাসপাতালে ভেন্টিলেটর আছে, কিন্তু দক্ষ জনবলের অভাবে চালু করা যায়নি।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন জেলায় মহামারি আকারে বিস্তার ঘটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হবে।
সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, সদর হাসপাতালে ৫০ শয্যার করোনা ইউনিট রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সেও আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ১৭০৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫৭০ জন এবং মারা গেছেন ৩৬ জন।