চট্টগ্রামে গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণ: তদন্ত শুরু, মামলা দায়ের
চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাস লাইন বিষ্ফোরণের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গঠিত তদন্ত কমিটিও কাজ শুরু করে। প্রথম দিনেই তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।
এই ঘটনায় সোমবার দুপুরে কোতোয়ালী থানায় দুই জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহত মাহমুদুল হকের স্ত্রী শাহিনা আক্তার।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আসামীদের নাম ‘তদন্তের স্বার্থে’ তিনি বলেন নি।
জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির সদস্য ও ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল সিভিল ডিফেন্স বিভাগের উপ সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, “দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গ্যাসের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এটি কি সেপটিক ট্যাংকির গ্যাস নাকি লাইনের গ্যাস এটি নিয়ে আরও তদন্ত করতে হবে।”
বিস্ফোরক অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বড়ুয়া ভবনে গ্যাস রাইজার ও পাইপ লাইন পুরনো এবং অরক্ষিত ছিল। পাইপ লাইন লিকেজ হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) আ ন ম সালেক জানান, গ্যাস লাইনের ত্রুটি থেকে বিস্ফোরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এই ঘটনায় গত রোববার পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করলেও সোমবার আরও দুই সদস্য বাড়িয়ে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ জেড এম শরিফ হোসেনকে প্রধান করে ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল), সিডিএ ও পুলিশের একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।
অন্যদিকে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে গঠিত আরেকটি তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। এ সময় ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসমাইল বালি, কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্র্জ ( ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, “দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস বিষ্ফোরণ থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত কমিটি এখনো কাজ করছে। শীঘ্রই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।”
পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মেহেদী হাসান, নগর বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মঞ্জুর মোরশেদ ও কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা, কেজিডিসিএল এর মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) প্রকৌশলী সারোয়ার হোসেন, উপ-মহাব্যবস্থাপক (কোয়ালিটি কন্ট্রোল) প্রকৌশলী আহসান হাবিব, উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়) প্রকৌশলী আবু জাহের উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্ল্যানিং) প্রকৌশলী শফিউল আলম।