জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে কলেজ ছাত্র নিহত
বরিশালে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সজীব কারিগর (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নেয়ামতি ইউনিয়নের ছোটপুইয়াউটা গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত সজীব কারিগর ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক কারিগরের ছেলে এবং উপজেলার মহেশপুর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
এ ঘটনায় পুলিশ ৮ জনকে আটক করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আটকৃতরা হলেন- একই গ্রামের পরিমল সরকার, সুব্রত, সখানাথ সরকার, পলাশ, সুমন, হরলাল, পুষ্প রাণী ও আশরাফ আলী।
নিহতের চাচা তৈয়ব আলী কারিগর জানান, '১৯৯২ সাল থেকে একই এলাকার পরিমল ও তাদের বংশের লোকজনের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধ মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে একাধিবার উদ্যোগ গ্রহণ করা সত্ত্বেও কোন সমাধান হয়নি। এ নিয়ে আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলাও চলছে। একাধিকবার পরিমল ও তাদের লোকজন ওই জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে। তবে আমাদের বাধার মুখে তারা ব্যর্থ হয়।'
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে সজীবের বাবার জমি থেকে মাটি কাটছিল পরিমল ও সখানাথ সরকারসহ তাদের লোকজন। এ খবর পেয়ে তাদের বাধা দিতে গেলে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা মারধর শুরু করে। এ খবর পেয়ে ওই জমিতে ছুটে যায় সজীব ও তার বাবা রাজ্জাকসহ অন্যান্যরা। এ সময় মাটি কাটা নিয়ে দুুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে সুব্রত একটি ছুরি বের করে সজীবের বুকে ঢুকিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সজীবের মৃত্যু হয়।
এরপর থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে সজীব হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। তারা হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। পরবর্তীতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে জড়িত ৮ জনকে আটক করেছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি সুব্রত এর ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।