জিকে শামীমের জামিন, জানে না রাষ্ট্রপক্ষ
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া আলোচিত ঠিকাদার ও যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা জি কে শামীম অস্ত্র ও মাদক মামলায় এক মাস আগে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন।
কিন্তু সেই জামিনের খবর জানেন না রাষ্ট্রপক্ষ।
তবে উচ্চ আদালত থেকে নেয়া এ জামিনের সত্যতা শনিবার নিশ্চিত করেছেন জি কে শামীমের আইনজীবী শওকত ওসমান।
তিনি বলেন, 'মাদক মামলায় বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভিস্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি জামিন পান জি কে শামীম। ৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র মামলায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে জামিন পান তিনি। এখন জামিন না পাওয়া আরও দুটি মামলা আছে। তাই জি কে শামীম এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না।'
অবশ্য জি কে শামীমের জামিন নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবী মন্তব্য করতে চাননি। তবে ডেপুটি অ্যাটর্নী জেনারেল এফআর খান জানিয়েছেন, তিনি এই জামিন প্রাপ্তির বিষয়ে কিছুই জানেন না।
জিকে শামীমের জামিনের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে আমি প্রথম শুনলাম। অফিসিয়ালি আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। এ ব্যাপারে আগামীকাল (রোববার) পদক্ষেপ নেব।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব।
তখন ওই ভবন থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয়। সে সময় শামীম ও তার সাতজন দেহরক্ষীও গ্রেপ্তার হন।
পরের দিন তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ৩টি মামলা দায়ের করে র্যাব। এর মধ্যে অস্ত্র ও মুদ্রা পাচার মামলায় সবাইকে আসামি করা হলেও অন্য মামলায় শুধু শামীমকে আসামি দেখানো হয়।
এর প্রায় এক মাস পর ২১ অক্টোবর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সর্বশেষ অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে ঢাকার বিচারিক আদালতে।
এদিকে, জি কে শামীমের জামিনের বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের না জানাটা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রোববার সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।