ডিএনসিসিতে হচ্ছে নতুন ৩৬টি ফুটওভার ব্রিজ, পুরনো ৮টিতে সচল সিঁড়ি
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় তৈরি করা হবে ৩৬টি নতুন ফুটওভার ব্রীজ। চালু ৮টি ওভারব্রিজে স্থাপন করা হবে ১৬টি এস্কেলেটর বা সচল সিঁড়ি ।
উত্তরের সড়কগুলোর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, পথচারীদের চলাচল সহজ করাসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজের জন্য নেয়া ৩১৯.২৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের আওতায় এছাড়াও ৪৭টি ফুটওভার ব্রিজ সংস্কার করা হবে।
গত বছরের অক্টোবরের শেষ দিকে প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদন পায়। ডিএনিসিসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি মাসের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রকল্পের আওতায় মোট ১৩ ধরনের কাজ করা হবে। প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হবে নতুন ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণে। এরপরে আছে সড়ক মিডিয়ান ও ফুটপাতে গ্রীল ফেন্সিংয়ের কাজ। প্রকল্পের আওতায় উত্তরের প্রায় ৪৫.০৮ কিলোমিটার রাস্তায় সড়ক মিডিয়ান ও সড়ক সংলগ্ন ফুটপাতের পাশে গ্রীল ফেন্সিং দেয়া হবে।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, 'অর্থ ছাড় পেলেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে। প্রাথমিক প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি।'
ডিএনসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরহাদ জানিয়েছেন, 'আমরা এ মাসের মধ্যেই প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করবো। অর্থছাড় হলে ফেব্রুয়ারিতেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে। মাঠের কাজ শুরু হয়ে যাবে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে।'
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে যানচলাচল সহজ ও পথচারীদের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী ডিএনসিসি কতৃপক্ষ।
রাস্তা পারাপারে জনবহুল এলাকাগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে চালু ৮ টি ফুটওভার ব্রিজে ২টি করে মোট ১৬ টি এস্কেলেটর বা সচল সিড়ি স্থাপন করা হবে। এতে ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহারে মানুষ বেশি আগ্রহী হবে।
এই আটটি ফুটওভার ব্রিজ হচ্ছে : কাকলী, শাহীন কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, সিএমএইচ হাসপাতাল, শ্যামলী ইন্টারসেকশন, মহাখালী ও প্রগতি সরণির ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়।
বর্তমানে ডিএনসিসির তিনটি ফুটওভার ব্রিজে ৬ টি এস্কেলেটর আছে। এগুলোর অবস্থান বনানী, বিমানবন্দর স্টেশন ও বসুন্ধরা এলাকায়।
প্রকল্পের আওতায় সড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা এবং পথচারীদের নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রকল্পে ৭.৭৪ কিলোমিটার সড়ক মিডিয়ান উন্নয়ন করা হবে। সড়ক মিডিয়ান ও সংলগ্ন ফুটপাতের সাইডে গ্রিল ফেন্সিং স্থাপন করা হবে।
মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ফুটপাতের পাশে এবং রাস্তার ডিভাইডারে গ্রীল ফেন্সিং দেয়া হবে যাতে কেউ চাইলেই রাস্তার মাঝ দিয়ে চলাচল করতে না পারে। এতে মানুষ ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহারে অভ্যস্ত হবে বলে মনে করছে ডিএনসিসি।
কুড়িল চৌরাস্তায় ১টি, উত্তরাতে ৫টি, পল্লবীতে ১টি, মিরপুরে ৬টি, তেজগাও-মহাখালীতে ৪টি, বিমানবন্দর এলাকায় ২টি, গুলশানে ৩টি, বাড্ডা-রামপুরায় ৪টি, টেকনিক্যালে ১টি, কচুক্ষেতে ১টি, ৬০ ফিট রোডে ১টি, শ্যামলীতে ২টি এবং মোহাম্মদপুর এলাকায় ৫টি নতুন ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে রয়েছে- প্রায় ১৪ কিলোমিটার প্রধান সড়ক ও ২৬ কিলোমিটর ফুটপাত উন্নয়ন, ১৭১০টি ট্রাফিক সাইন স্থাপন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য নতুন করে ৬.৫৮ কিলোমিটার পাইপ নর্দমা ও ৯.০৫ কিলোমিটার পার্শ্ব নর্দমা নির্মাণ।