ডিজিটাল কোরবানি হাট: গ্রাহককে সময়মতো কোরবানির পশু দিতে না পারলে ব্যবস্থা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করে এবারের ডিজিটাল কোরবানি হাট বাস্তবায়ন করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ডেইরী ফার্ম এসোসিয়েশন। এতে কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে এটুআই-এর অনলাইন প্লাটফর্ম একশপ।
আগামী রবিবার ডিজিটাল কোরবানি হাট উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা বিষয়ক একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনায় জড়িত পক্ষসমূহের দায়দায়িত্ব ঠিক করে দেয়া হয়েছে। পশু ক্রয় ও বিক্রয়ের নিয়ম ঠিক করে দেয়া হয়েছে। পশু বিক্রির কি কি নিয়ম মানতে হবে, কি কি তথ্য থাকতে হবে তা উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া গ্রাহককে সময়মতো কোরবানির পশু দিতে না পারলে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যব্যস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এই প্লাটফর্মে ই-ক্যাব এবং বিডিএফএ এর অনুমোদিত সদস্যদের প্রতিষ্ঠান কেবল অংশ নিতে পারবে।
এছাড়া জেলা প্রশাসকদের অনুমোদিত বিক্রেতারা তাদের পশু বিক্রি করতে পারবে। ক্রেতার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ ধরনের রক্ষণশীল কৌশল রাখা হয়েছে।
ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, "এই হাট যেহেতু ঈদকেন্দ্রীক এবং এবার করোনা মহামারির প্রকোপও বেড়েছে। তাই আমরা চাই ক্রেতারা অনলাইন থেকে নিরাপদে পশু ক্রয় করুক। আমরা গতবার প্রান্তিক চাষীদের যুক্ত করলেও এবার যাচাই-বাছাই করা কঠিন হবে। ফলে আমরা শুধু ভেরিফাইড বিক্রেতাদেরকে সুযোগ দিচ্ছি।"
ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারী মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, "আমরা সরকারের এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতা নিয়ে এটি গতবারের মতো সফল বাস্তবায়ন করতে চাই। তবে এবার আমরা ক্রেতা ও বিক্রেতার সংযোগ ঘটিয়ে দেবো। যাতে তারা আস্থার সহিত কেনাকাটা করতে পারেন। ক্রেতার আর্থিক নিরাপত্তা দিতে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তার সাময়িক এসক্রো সেবা ব্যবহার করার চেষ্টা করছি।"