ড. ইউনূসকে গ্রেপ্তারের আদেশ স্থগিত করেছেন হাই কোর্ট
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/10/09/dr_yunus-_1.jpg)
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে জারিকৃত গ্রেপ্তার আদেশ সোমবার স্থগিত করেছেন হাই কোর্ট। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ থাকবে।
তাঁর প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউকিশন্স লিমিটেডের তিন সাবেক কর্মচারীর দায়েরকৃত মামলায় আদালতে ধার্য তারিখে উপস্থিত হননি ড. ইউনূস। এর প্রেক্ষিতে একটি নিম্ন আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।
বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল আজিজ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মামলাটির কার্যক্রমও স্থগিত ঘোষণা করেন।
এর আগে ড, ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ নিম্ন আদালতের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের সাবেক তিন কর্মচারীর দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে, ৮ অক্টোবর অন্য দুই বিবাদীর সঙ্গে ড. ইউনূসকেও আদালতে উপস্থিত হতে সমন জারি করা হয়েছিল।
কিন্তু নির্ধারিত তারিখে তিনি আদালতে হাজির হননি বলে ঢাকার শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রাহিবুল ইসলাম ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
৩ জুলাই একই আদালতে ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের আরও দুজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন কোম্পানি থেকে চাকরিচ্যূত ওই তিন কর্মচারী।
গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স ড. ইউনূসের নিজের প্রতিষ্ঠান।
পরে আদালত বিবাদী তিন জনকে ৮ অক্টোবর আদালতে উপস্থিত হতে আদেশ জারি করলেও ড. ইউনূস আদালতে যাননি।
মামলার অন্যতম বাদী আবদুস সালাম জানালেন, তিনিসহ কোম্পানির কয়েকজন কর্মচারী ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করেছিলেন।
‘গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ নাম দিয়ে তারা একটি ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোম্পানির মহাপরিচালকের বরাবরে আবেদন করেন এ বছরের ১৬ এপ্রিল। কিন্তু আবেদনটি গত ৯ জুন প্রত্যাখ্যাত হয়।
সালাম অভিযোগ করেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের জন্য তাদের উদ্যোগের কথা জানার পর থেকেই মামলার বিবাদীরা তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন।
এরই পথ ধরে এক পর্যায়ে তাদের কয়েক জনকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে সালামের অভিযোগ। কর্তৃপক্ষ তাদের বরখাস্ত করার সময় কোনো কারণও দেখাননি বলে জানান তারা।