বাংলাদেশে প্রতিশোধের কোনো জায়গা থাকা উচিত নয়: মার্কিন দূতকে প্রধান উপদেষ্টা
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/11/4854013.jpg)
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি সমাজে 'পুনর্মিলন' প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে তিনি দেশের মানুষকে প্রতিশোধের চক্র ভেঙে দেশে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসন আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা সবাই এ দেশের সন্তান। এখানে প্রতিশোধের কোনো জায়গা থাকা উচিত নয়।'
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার সময় যেকোনো মূল্যে মানবাধিকার রক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
মার্কিন দূতের সঙ্গে সাক্ষাতে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ও বিশ্বব্যাপী ইউএসএআইডির কাজ বন্ধের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস ও জ্যাকবসন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডা, রোহিঙ্গা সংকট, অভিবাসন এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা একটি ঐকমত্য কমিশন গঠন এবং এর পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করার বিষয়ে তার সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সংস্কারের বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর রাজনৈতিক দলগুলো এগুলো বাস্তবায়নের জন্য জুলাই সনদে সই করবে।
এ সময় জ্যাকবসন জোর দিয়ে বলেন, নতুন সরকারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হওয়া উচিত। সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট নিয়েও খোঁজখবর নেন তিনি।
বাংলাদেশে বসবাসরত এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখায় মার্কিন প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সেইসঙ্গে ড. ইউনূস স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর'বির জীবন রক্ষাকারী প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে সহায়তা স্থগিতে মার্কিন সিদ্ধান্তের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বাংলাদেশ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের হাইতির মতো দেশে ডায়রিয়া ও কলেরায় মৃত্যুর হার প্রায় শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে আইসিডিডিআর'বির ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
ড. ইউনূস বলেন, ইউএসএআইডির সঙ্গে যাই ঘটুক না কেন, পুনর্গঠন, সংস্কার ও পুনর্গঠনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন। এটা বন্ধ করার সময় নয়।