ঢাকা ফিরছে পোশাক শ্রমিকেরা
কঠোর বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে আজ শনিবার যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারের ঢল নেমেছে। নয় দিন ধরে চলা বিধি নিষেধের প্রতিদিনই দেখা গেছে বিধিভঙ্গের একই চিত্র। আজ সকাল হতে নৌরুটের সচল ১০টি ফেরিতে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও পারাপার হচ্ছে শতশত যাত্রী, ব্যক্তিগত গাড়ি।
শুধুমাত্র জরুরি ও লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারে ফেরি চালু থাকলেও একেবারেই মানা হচ্ছে না নিয়ম। ঘাটের অভিমুখে পুলিশের চেকপোস্ট ও ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও যাত্রীরা দেখাচ্ছে নানা অজুহাত। বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসা ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে। এসব যাত্রীদের অধিকাংশই গার্মেন্টস কর্মী অথবা গার্মেন্টস এর সাথে জড়িত।
যাত্রীদের সবার একই দাবি, জীবিকার জন্য কর্মস্থলে আর নানা রকম প্রয়োজনের তাগিদেই ছুটছেন তারা। তাছাড়া আগামীকাল থেকে গার্মেন্টস খোলা, ফলে তাদের যেকোনো উপায়ে গার্মেন্টসে যোগদান করতে হবে না হলে চাকরি থাকবে না। আগতদের মধ্যে নারী যাত্রীদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (মেরিন) আহমেদ আলী জানান, রুটে ছোটবড় মিলিয়ে ১০টি ফেরি সচল রয়েছে। শুধুমাত্র জরুরি গাড়ি পারাপারেই ফেরি চালু রয়েছে। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী যাত্রীর সংখ্যা কম। তবে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আগত প্রতিটি ফেরিতেই চাপ রয়েছে। ঘাটে গাড়ির চাপ না থাকায় যেসব গাড়ি পারাপারের জন্য আসছে তাদের খুব একটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। তবে গার্মেন্টস শ্রমিকের সংখ্যা বেশি, তারা যে কোন উপায়ে ঢাকাতে ঢুকতে মরিয়া।