ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ: শেওড়া থেকে ধর্ষককে গ্রেপ্তার
কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ধর্ষকের নাম মো. মজনু (৩০)। তাকে রাজধানীর শেওড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) গভীর রাতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন-কাসেম এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির ছবি ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে দেখানো হয়েছে। তিনি তাকে ধর্ষক বলে শনাক্ত করেছেন।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, ধর্ষক মজনুকে রাজধানীর শেওড়া রেলক্রসিং এলাকা থেকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ঢাবি ছাত্রীর মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে কাওরানবাজারে র্যাব কার্যালয়ে গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারোয়ার বিন কাসেম বলেন, ধর্ষক মজনুর বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত মিজানুর রহমান।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সদস্য মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন, ধর্ষণকারীর বিষয়ে ছাত্রীর দেওয়া বিবরণ এবং ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে একাধিক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করেছেন। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন।
গত রোববার রাতে কুর্মিটোলা এলাকায় ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। তিনি বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে কুর্মিটোলা বাস স্টপেজে নামেন তিনি। পরে অন্য যানবাহনের জন্য ফুটপাত ধরে হাঁটছিলেন। হঠাৎ তাকে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে ফুটপাতের পাশের ঝোপে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ধর্ষণের শিকার হন।
ধর্ষণের এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, গতকালই আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি)।
মামলার এজাহার গতকাল ঢাকার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষকের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির মতো। গায়ের রং শ্যামলা, গড়ন মাঝারি। পরনে জিনসের পুরোনো ফুলপ্যান্ট ও ময়লা কালচে ফুলহাতা জ্যাকেট, পায়ে স্যান্ডেল এবং মাথার চুল ছোট করে ছাঁটা।
আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য গতকাল নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।