পিকে হালদার ৭০/৮০ জন বান্ধবীর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতেন: দুদক আইনজীবী
পিপলস লিজিংসহ বিভিন্ন অর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং পাচারের অভিযোগে বিদেশে পালিয়ে থাকা পিপলস লিজিংয়ের সাবেক পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) ৭০ থকে ৮০ জন তথাকথিত গার্লফ্রেন্ড/ প্রেমিকার সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
যাদের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমেই এসব টাকা লেনদেন ও বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে দুদক জানিয়েছে।
আজ রোববার বিষয়টি (২০ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুদকের প্রধান আইনজীবী আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
ব্যাংক হিসাবের বিষয় ও প্রেমিকাদের বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) কাছে পাঠানো হবে। আর পরবর্তীতে হাইকোর্ট নির্ধারিত তারিখে বিষয়টি আদালতেও উপস্থাপন করা হবে।
খুরশীদ আলম খান বলেন, তদন্তে প্রমাণিত হলে তাদেরও (গার্লফ্রেন্ডদের) আসামি করা হবে। এসব নারীদের তালিকায় কারা আছেন জানতে চাইলে দুদক আইনজীবী বলেন, 'এই মুহূর্তে কারও নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না । কারণ তাদের বিষয়ে আগে অনুসন্ধান করা হবে।'
দুদক আইনজীবী জানান, পিকে হালদারকে ধরতে এরইমধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে পিকে হালদার দেশে ফিরতে চেয়েও ফেরেননি। এমনকি তার অবস্থান নিয়েও নিশ্চিত নন কেউ।
প্রশান্ত কুমার হালদার, ব্যাংক পাড়ায় পিকে হালদার নামে পরিচিত। তিনি পিপলস লিজিংসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা রয়েছেন। মাঝে একবার টাকা ফেরতের শর্তে দেশে ফিরতে চাইলেও, দেশে ফিরলে গ্রেফতার হতে হবে হাইকোর্টের এমন আদেশের পর অসুস্থতার কথা বলে আর ফেরেননি তিনি।
জানা গেছে, কানাডার বেগম পাড়ায় বাড়ি করে রাজকীয় জীবন-যাপন করছেন তিনি।
শুধুমাত্র পিপলস লিজিংস থেকেই প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বিদেশ পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।